সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বিরুদ্ধে যে মামলা চলছিল, তা সুপ্রিম কোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানোর আর্জি জানানো হয়েছিল। কিন্তু তা নাকচ করে দিল শীর্ষ আদালতের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ। ফলে ওই বেঞ্চেই ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার বিরোধী মামলা চলবে।
আরও পড়ুন : Article 370 hearing: 'কাশ্মীরের সার্বভৌমত্বের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভারতের ঐক্য'
গত ৫ অগস্ট জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করেছিল কেন্দ্র। সেই সিদ্ধান্তের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে কমপক্ষে ২৩টি মামলা দায়ের হয়। মামলাকারীদের মধ্যে রয়েছে পিপলস ইউনিয়ন অফ সিভিল লির্বাটিস, জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ও এক ব্যক্তি।
আরও পড়ুন : ৩৭০ ধারা রদের পর পাকিস্তান থেকে হামলার আশঙ্কা বেড়েছে, সতর্কতা কেন্দ্রের
পূর্ববর্তী দুটি মামলার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বর্তমান মামলাটি পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ থেকে সাত বা তার বেশি সদস্যের বেঞ্চে পাঠানোর আর্জি জানিয়েছিল তারা। আবেদনকারীরা দাবি করে, ১৯৫৯ সালে প্রেমনাথ কউল বনাম জম্মু ও কাশ্মীর এবং ১৯৭০ সালে সম্পদ প্রকাশ বনাম জম্মু ও কাশ্মীর মামলা দুটির রায়ে বিভেদ রয়েছে। যে মামলা দুটির রায় দিয়েছিল পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ। তাই পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ বর্তমান মামলাটি শুনতে পারবে না।
সম্পদ প্রকাশ মামলার রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, জম্মু ও কাশ্মীরের গণ পরিষদের সুপারিশের ভিত্তিতে যদিও রাষ্ট্রপতি কোনও নির্দেশ জারি করেন, তবেই ৩৭০ ধারা কার্যকর হওয়াটা বন্ধ হবে।
আরও পড়ুন : বৈধ নয় ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত, সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল বিরোধীদের
অন্যদিকে প্রেমনাথ কউল মামলায় সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল, সংবিধানের ৩৭০ ধারা দ্বারা জম্মু ও কাশ্মীরের শাসকদের সম্পূর্ণ ক্ষমতা (প্লেনারি পাওয়ার) নিয়ন্ত্রিত নয়। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, ৩৭০ ধারার সাময়িক নিয়মগুলি এই ধারণার উপর নির্ভর করে যে জম্মু ও কাশ্মীর এবং ভারতের সম্পর্ক নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সে রাজ্যের গণ পরিষদ।
যদিও বর্তমান মামলাটি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানোর কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই বলে সওয়াল করে কেন্দ্র। অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে ভেনুগোপাল আদালতে জানান, ওই দুটি রায়ের মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই। দুটি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রায় দেওয়া হয়েছিল। কেন্দ্রের সেই সওয়াল মেনে নেয় বিচারপতি এন ভি রামান্নার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। শীর্ষ আদালত জানায়, প্রেমনাথ কউল ও সম্পদ প্রকাশ মামলার রায়ে কোনও প্রভেদ নেই।