বুধবার সুপ্রিম কোর্টে কাটল না মধ্যপ্রদেশ সঙ্কট। দ্রুত রাজ্যে আস্থা ভোট করা হোক, এই দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে বিজেপি। কংগ্রেসের দাবি তাদের বিধায়কদের জোর করে আটকে রাখা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান প্রস্তাব করেন যে বিধায়কদের সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে আসা হবে। কিন্তু সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত।
দুই বিচারপতি বলেন যে তারা আইনসভার কাজের মধ্যে আসতে চান না, কিন্তু কংগ্রেসের তথাকথিত বিদ্রোহী বিধায়করা নিজেদের ইচ্ছানুসারে কাজ করছেন কিনা, সেটা দেখতে হবে। মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় তারা যাবেন কি যাবেন না, সেটা বিধায়কদের ব্যক্তিগত বিষয় বলে জানায় আদালত।
প্রসঙ্গত, ২২ জন কংগ্রেস বিধায়ক কমলনাথ সরকারের প্রতি আস্থা হারিয়ে দল ছাড়ার ঘোষণা করেছেন। এর মধ্যে ছয়জনের ইস্তফা গৃহীত হয়েছে। বাকি ১৬জনের ইস্তফা এখনও গৃহীত হয়নি। কংগ্রেসের দাবি তারা বিধানসভায় আসুন। কিন্তু আসতে নারাজ বিধায়করা। অন্যদিকে রাজ্যপাল বলা সত্ত্বেও এখনও আস্থাভোট নেননি কমলনাথ। বর্তমানে অঙ্কের হিসাবে, সংখ্যালঘু কমলনাথের সরকার।
এদিন সুপ্রিম কোর্ট বলেন এমন একটি ধারণা যে বিধায়কদের নিজেদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে আটকে রাখা হয়েছে, সেটি ভালো নয়। তবে বিধায়কদের বিষয় স্পিকার কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তা দ্রুত আদালতকে জানাতে বলা হয়। আগামিকাল স্পিকারের সিদ্ধান্ত আদালতকে জানানো হবে বলে জানান মনু সিঙ্ঘভি।
বিদ্রোহী বিধায়কদের আইনজীবী বলেন যে তাঁরা স্পিকারের কাছে যেতে চান না নিরাপত্তাজনিত কারণে।তবে সুপ্রিম কোর্টে এসে দেখা করার বিধায়কদের আর্জি মানেনি আদালত। এমনকী কর্নাটক হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের স্পিকারের সঙ্গে দেখা করার প্রস্তাব খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট।
এদিন বেঙ্গালুরুতে গিয়ে বিদ্রোহী বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেন কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং। তাঁকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। পরে কর্নাটক হাইকোর্টে দেখা করার জন্য আবেদন করেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ হয়ে যায়।