অরবিন্দ কেজরিওয়াল একটি নির্বাচনী সভায় বলেছিলেন যদি মানুষ আপের দিকে ভোট দেন তাহলে ২রা জুন আর আমাকে জেলে ফেরত যেতে হবে না। কেজরিওয়ালের এই বিবৃতির তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল ইডি। তবে সুপ্রিম কোর্ট ইডির এই বিবৃতিকে মান্যতা দেয়নি।
বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, তারা কেজরিওয়ালকে কোনও স্পেশাল ট্রিটমেন্ট দিচ্ছেন না। লোকসভা ভোটের প্রচারের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়ে তাঁরা কোনও স্পেশাল ট্রিটমেন্ট দেননি।
বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে, আমরা কারোর জন্য ব্যতিক্রমী কিছু করি না। যেটা আমরা যুক্তিযুক্ত বলে মনে করি সেটাই আমরা রায়ের মাধ্যমে প্রকাশ করি। প্রসঙ্গত কেজরিওয়ালের অন্তর্বর্তী জামিন সংক্রান্ত মামলায় শুনানি হচ্ছিল আদালতে।
এদিকে গত সপ্তাহে উত্তম নগরে একটা সভায় কেজরিওয়াল বলেছিলেন, মানুষ যদি তাঁর পক্ষে ভোট দেন তবে তাঁকে আর জেলে ফিরে যেতে হবে না। তিনি বলেন, ওরা ( বিজেপি) বলছে যে ২০ দিন পরে আমায় জেলে ফিরে যেতে হবে। যদি আপনারা বেশি করে ঝাঁটা চিহ্নে ভোট দেন তবে আমায় আর জেলে ফিরে যেতে হবে না। আপনাদের হাতে সেই ক্ষমতা রয়েছে।
এদিকে গত ২১শে মার্চ গ্রেফতার করা হয়েছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। গত ১০ মে সুপ্রিম কোর্ট কেজরিওয়ালকে অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছিল। দিল্লির আবগারি সংক্রান্ত মামলায় তাকে জামিন দেওয়া হয়েছিল। আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে আগামী ২রা জুন তাকে জেলে চলে যেতে হবে। ফের আত্মসমর্পণ করতে হবে তাঁকে।
অন্যদিকে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি অমিত শাহ জানিয়েছিলেন কেজরির প্রসঙ্গ।
প্রশ্ন করা হয়েছিল, উত্তরপ্রদেশে ইন্ডিয়া জোটের মধ্য়ে নতুন প্রাণ এসেছে কেজরিওয়াল আসার পর থেকে। আপনি কি এটা মানেন?
সেখানে শাহ বলেন, কিছু খারাপ ইস্যুতে ফেঁসেছেন। এটা হয়ে যাক। তারপর দেখা যাক কী হয়!
প্রশ্নঃ যে ইস্যুতে তিনি ফেঁসেছেন বলছেন তিনি তো রাজ্যসভার মেম্বার!
অমিত শাহঃ দেখুন আমি এনিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। আমি শুধু বলছি পুলিশকে অভিযোগ করলে পুলিশ দেখবে। তবে আমি এটাই বলব যে ইস্যুতে ফেঁসেছেন সেটা থেকে আগে তিনি মুক্তি পান তারপর দেখা যাবে।
ইস্যুতো চলছে…বললেন অমিত শাহ।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, মূলত অন্য ইস্যুতে বলতে তিনি স্বাতী মালিওয়ালের কথা উল্লেখ করতে চেয়েছেন। তবে এনিয়ে তিনি সরাসরি কারোর নাম মুখে আনেননি। তিনি বলেন, অন্য ইস্যুতে ফেঁসেছেন। সেটা থেকে আগে তিনি মুক্তি পান। তারপর দেখা যাবে।
তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট তো স্পষ্টভাবে বলেছেন। আর তিনি বলছেন বিজয়ী হলে আর জেলে যেতে হবে না। যে জজ সাহেব এই জাজমেন্ট দিয়েছেন তাঁর দেখা দরকার তিনি যে রায় দিলেন তার কতটা ভালো প্রয়োগ হচছে নাকি অপপ্রয়োগ হচ্ছে।
প্রশ্নঃ আপনি ওই রায় নিয়ে কী বলবেন?
অমিত শাহঃ দেখুন সুপ্রিম কোর্টের অধিকার রয়েছে, ন্যায় রক্ষা করার। কিন্তু আমি মনে করি এটা রুটিন আর নর্মাল রায় নয়। অনেক লোক দেশে মানেন এটা স্পেশাল ট্রিটমেন্ট হয়েছে।