সন্দেশখালির ঘটনাকে ঘিরে রাজ্য সরকার তথা তৃণমূলের অস্বস্তি ক্রমশ বাড়ছে। কলকাতা হাইকোর্টের অর্ডারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের তরফে আবেদন করা হয়েছিল । কলকাতা হাইকোর্ট সন্দেশখালির ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাইকোর্টের আগের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়নি। অর্থাৎ আগের নির্দেশ বহাল থাকবে। অর্থাৎ সিবিআই আগের মতোই সন্দেশখালির ঘটনায় তদন্ত করতে পারবে বলে খবর।
সেই সঙ্গেই এদিন সুপ্রিম কোর্টের তরফে প্রশ্ন করা হয়, শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে এত দেরি হল কেন?
এদিকে এই মাসের প্রথম দিকে কলকাতা হাইকোর্ট সন্দেশখালি মামলাকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। সেই শাহজাহানের উসকানিতে কয়েকজন ইডির আধিকারিকদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত হয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। এরপরই এনিয়ে শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই বেপাত্তা ছিলেন শাহজাহান। শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয় শেখ শাহজাহানকে। সেই শাহজাহানও বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে রয়েছে। আর সেটা করতে গিয়েও বহু কাঠখড় পোড়াতে হয় শেখ শাহজাহানকে। শেষ পর্যন্ত সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। শেষ পর্যন্ত সিআইডি শেখ শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হয়।
এদিকে সেই সময়ও হাইকোর্টে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছিল রাজ্য পুলিশকে। রাজ্য পুলিশ লুকোচুরি খেলছে বলেও বকাঝকা করেছিল আদালত। তবে সিবিআইয়ের তদন্তে স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতে গিয়েছিল রাজ্য় সরকার। তবে কেন সিবিআইয়ের হাত থেকে শেখ শাহজাহানকে বাঁচাতে চাইছে রাজ্য সরকার তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। তবে এবার সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। সেই মামলায় স্থগিতাদেশ চেয়ে যে আবেদন করা হয়েছিল তা খারিজ হয়ে গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেক্ষেত্রে সিবিআই এবার তাদের তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে সন্দেশখালি ইস্যুতে।
এদিকে সন্দেশখালির বিভিন্ন জায়গায় ফের ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে বলে খবর। এদিকে সন্দেশখালি ইস্য়ুতে আবার শিলিগুড়িতে তীব্র বিক্ষোভ দেখান এবিভিপি নেতা কর্মীরা। সব মিলিয়ে ভোট যত এগোচ্ছে ততই সন্দেশখালি ইস্যুতে সুর চড়াতে শুরু করেছেন বিরোধী নেতৃত্ব।