২১ বছরের এক তরুণীর সঙ্গে আধ্যাত্মিক লিভ ইন রিলেশনে থাকতে চেয়েছিলেন ৫৩ বছর বয়সী এক স্বঘোষিত আধ্যাত্মিক গুরু। অভিভাবকদের হেফাজত থেকে ওই তরুণীকে মুক্তি দেওয়ার আবেদনও তিনি সুপ্রিম কোর্টে করেছিলেন। তবে সেই আবেদনকে প্রত্যাখ্যান করেছে সুপ্রিম কোর্ট। দেশের সর্বোচ্চ আদালত ওই কিশোরীর মানসিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে তাকে অভিভাবকদের সঙ্গে থাকারই পরামর্শ দিয়েছে।
কেরলের স্বঘোষিত গুরু কৈলাশ নটরাজন। পেশাগতভাবে তিনি একজন চিকিৎসক। তাঁর স্ত্রী ও দুজন সন্তানও রয়েছে। সেক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, অভিভাবকদের সঙ্গে থাকা ও নিজেদের পছন্দমতো কাউকে বিয়ে করার অধিকার থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যায় না।
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের সামনে নটরাজনের আইনজীবী জানিয়েছেন, আবেদনকারী ওই তরুণীকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চাননি। কিন্তু একজন প্রাপ্তবয়স্কা হিসাবে তিনি কার সঙ্গে থাকবেন সেটা থেকে কাউকে বিরত করা যায় না। প্রায় আড়াই বছর ধরে ওই তরুণীর সঙ্গে নটরাজনের আধ্যাত্মিক লিভ ইন রিলেশন চলছিল বলে আবেদনে দাবি করা হয়েছে।
তিন সদস্যের বেঞ্চের প্রধান চিফ জাস্টিস এনভি রামান্না জানিয়েছেন, ‘আমরা আবেদনকারীর সঙ্গে ওই তরুণীকে যেতে দিতে পারি না। কিশোরীর মানসিক অবস্থা ভালো নয়। নটরাজনের স্ত্রী ও দুই সন্তানও রয়েছে। এর আগে পসকো আইনে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল।’