বিহারে তফশিলি জাতি, উপজাতি, অনগ্রসর শ্রেণি ও ভীষণভাবে পিছিয়ে থাকা শ্রেণির জন্য চাকরিতে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে সংরক্ষণ বর্ধিত করার বিরুদ্ধে পাটনা হাইকোর্ট একটি নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ রাখার আর্জি সোমবার খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। বিহারে এই সংরক্ষণ ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ শতাংশ করার প্রস্তাব ছিল সংশোধিত আইনে। তবে সেই আইন বাতিল করা হয় পাটনা হাইকোর্টে। আর পাটনা হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দিতে নারাজ সুপ্রিম কোর্ট।
গত মাসে, পাটনা হাইকোর্ট বিহারে সংশোধিত সংরক্ষণ আইন বাতিল করেছে। সেই আইনে দলিত, এসসি,এসটি, পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য, সংরক্ষণের সীমা ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ শতাংশ করার কথা বলা হয়েছিল। যা বাতিল করে পাটনা হাইকোর্ট। পাটনা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ওই সংশোধিত আইনকে 'আইনগতভাবে খারাপ' বলে অভিহিত করে, বলে এটি সংবিধানের ‘সাম্যতার ক্লজকে লঙ্ঘন করে’।
এদিকে, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন,'আমরা নোটিশ জারি করছি এবং সেপ্টেম্বরে রাজ্য কর্তৃক দাখিল করা এই আপিলগুলির তালিকা করব৷ কিন্তু কোনও অন্তর্বর্তীকালীন ত্রাণ থাকবে না।' উল্লেখ্য, বিহারের তরফে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল জবাব করছিলেন সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা, সিনিয়র আইনজীবী শ্যাম দিবান। তাঁরা চাইছিলেন পাটনা হাইকোর্টের ২০ জুনের নির্দেশের ওপর যাতে সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দেয়। তাঁদের যুক্তি ছিল, ওই আইনের আওতায় ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের ওই বেঞ্চে এদিন বিচারপতি হিসাবে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ছাড়াও ছিলেন, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্ররা।