তফসিলি জাতি-উপজাতিদের সংরক্ষণ সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকার নয়, শুক্রবারের সুপ্রিম রায় নিয়ে উত্তাল সংসদ। রাহুল গান্ধী সহ বিরোধীরা বিজেপিকে এই ইস্যুতে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে। কিন্তু এই বিষয় কংগ্রেসের কোর্ট বল পাঠিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র।কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রী থাওয়ার চাঁদ গেহলট বলেন যে এই মামলায় কেন্দ্রের কোনও ভূমিকা নেই। কেন্দ্রকে নিজের বক্তব্য রাখতেও বলা হয়নি। ২০১২ সালে উত্তরাখণ্ড সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্তের জন্যেই এই বিতর্ক বেঁধেছে। গেহলট বলেন যে সেই সময় কংগ্রেসের সরকার ছিল রাজ্যে।
এরপর তফসিলি জাতি-উপজাতিদের আশ্বাস দিয়ে থাওয়ার চাঁদ গেহলট বলেন যে পিছিয়ে পড়াদের স্বার্থ রক্ষার্থে সরকার বদ্ধপরিকর। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে কী করা উচিত, সেটি নিয়ে ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে বলে জানায় কেন্দ্র।
এর আগে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী বলেন যে সরকার এসসি-এসটিদের অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে। সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী তখন মনে করিয়ে দেন যে ২০১২ সালে কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল। কংগ্রেস রাজনীতি করছে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে, বলে অভিযোগ করেন রাজনাথ সিং।
ডিএমকে ও এলজিপি দাবি করে যে তফসিলি জাতি-উপজাতিদের জন্য সংরক্ষণের ইস্যুটি সংবিধানের নবম শিডিউলে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, যাতে এই বিতর্কের অবসান হয়। সংযুক্ত জনতা দলের সাধারণ সম্পাদক কেসি ত্যাগী দাবি করেন যে সংসদের চলতি অধিবেষনেই অর্ডিন্যান্স আনা উচিত।
উত্তরাখণ্ড সরকারের পূর্ত দফতরে অ্যাসিসটেন্ট ইঞ্জিনিয়ারদের প্রোমোশনে তফসিলি জাতি-উপজাতিদের জন্য সংরক্ষণের দাবিতে মামলায় এই রায় দিয়েছে আদালত। সংরক্ষণ মৌলক অধিকার নয়, বলে জানান নাগেশ্বর রাও ও হেমন্ত গুপ্তা।
২০১২ সালের উত্তরাখাণ্ড হাই কোর্টের রায়কে বাতিল করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই সময় উকিলরা বলেছিলেন সংবিধানের ১৬(৪) ও (১৬-৪-এ) ধারা অনুযায়ী তফসিলি জাতি-উপজাতিকে সাহায্য করতে রাজ্যরা বদ্ধপরিকর। শীর্ষ আদালত বলে যে রাজ্যরা যদি মনে করে কোনও বিশেষ জাতি-উপজাতি থেকে যথেষ্ট লোক নেই, তাহলেই শুধু সংরক্ষণের ব্যবস্থা করবে তারা। চাকরি বা প্রোমাশন, কোনও ক্ষেত্রেই রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া যাবে না, বলে জানায় সুপ্রিম কোর্ট।
.