নাবালিকাকে গণধর্ষণের ঘটনায় একজন দোষী সাব্যস্ত হওয়া ব্যক্তির সর্বনিম্ন শাস্তি কী হতে পারে এনিয়ে কেন্দ্র ও অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছ থেকে জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট।১২ বছর বা তার কম বয়সী নাবালিকাকে গণধর্ষণের ঘটনায় সাধারণত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এদিকে মহারাষ্ট্রের এক দোষী সাব্যস্ত হওয়া ব্যক্তি আদালতে জানিয়েছেন, তিনি তার সাজাকে চ্যালেঞ্জ করতে চান না তবে এটা বলতে চান যে সর্বনিম্ন শাস্তি এতটা কঠোর হওয়া উচিত নয়।
বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড় ও এস বোপান্নার বেঞ্চ জানিয়েছে, আমরা এই ইস্যুতে অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্য শুনতে চাই। আমরা সাজার নির্দেশ বদলাচ্ছিনা। কিন্তু সর্বনিম্ন শাস্তি নিয়ে নোটিশ জারি করতে চাই। আগামী দুমাসের মধ্যে জবাব দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ও মহারাষ্ট্র সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
২০১৯ সালে ৯ বছর বয়সী এক কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল মহারাষ্ট্রের নিখিল শিবাজি গোলায়েত। তাকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছিল। অ্যাডভোকেট গৌরব আগরওয়াল আদালতকে জানিয়েছিলেন, সর্বনিম্ন ২০ বছর জেল দেওয়া উচিত ছিল। এদিকে ১৯৮৩ সালের একটি রায়ে মৃত্যুদণ্ডের সর্বনিম্ন শাস্তির নির্দেশকে খারিজ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। অন্য মামলায় যাবজ্জীবন থাকাকালীন কেউ খুন করলে তাকে বাধ্যতামূলকভাবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
এদিকে মহারাষ্ট্রে ওই ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তের বয়স ২৯ বছর। বুলধানা ট্রায়াল কোর্ট তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল। বোম্বে হাই কোর্ট তাকে যাবজ্জীবন দেয়। তবে ওই যুবকের আইনজীবী জানিয়েছেন, এটা অসাংবিধানিক রায়। কারণ এর মাধ্যমে অভিযুক্তকে সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।