আদৌ কি মহিলা সংরক্ষণ বিল ফেরত আনার পরিকল্পনা আছে কেন্দ্রের? এই মর্মে কেন্দ্রের থেকে উত্তর চাইল সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য আট বছর আগে সংসদে এই বিল পেশ হলেও পাশ হয়নি। সেটার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। এবার এই সংক্রান্ত একটি মামলার প্রসঙ্গে কেন্দ্রের অবস্থান জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার এই নির্দেশ দেয় বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও জেকে মাহেশ্বরীর বেঞ্চ। তিন সপ্তাহ বাদে ফের শুনানি হবে।
এই মামলাটি দায়ের করেছে ন্যাশনাল ফেডেরেশান অফ ইন্ডিয়ান উইমেন বলে একটি সংস্থা। তাদের পিটিশনের কপি কেন্দ্রকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলাটি যে গুরুত্বের সঙ্গে বিচার করা হবে সেটাও জানিয়েছে বেঞ্চ। আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ কেন্দ্রকে নোটিস পাঠানোর দাবি করেন। কোর্ট তখন বলে যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ কিন্ত আমরা আশা করি সব কিছু বিবেচনা করেই আপনারা আদালতে এসেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে রাজ্যসভায় পাশ হয়ে যায় মহিলা সংরক্ষণ বিল। কিন্তু ২০১৪ সালে এই বিল তামাদি হয়ে যায় কারণ লোকসভায় বিলটি পাশ হয়নি ও তৎকালীন সরকারের মেয়াদ পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। এই বিলটি পেশ না হওয়ার ফলে মহিলারা বঞ্চনার স্বীকার হচ্ছে বলে আবেদনকারীদের দাবি। বর্তমানে সংসদে মাত্র ১৪ শতাংশ মহিলা। পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার জেরে মহিলারা সমাজে সম অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে পিটিশনে দাবি করা হয়েছে। মহিলাদের ক্ষমতাশালী স্থানে অধিষ্ঠিত করলেই এই বিষয়টি বদলাতে পারে বলে মনে করছেন তারা। শুধু তাই নয় সমাজে নারী নির্যাতনের যে বিভিন্ন ঘটনা হয় তার নেপথ্যেও সমাজ ব্যবস্থার প্রভাব আছে বলে পিটিশনে বলা হয়েছে। এই সব কিছুর জন্যই মহিলা সংরক্ষণ আইন আনা খুব প্রয়োজনীয় বলে সওয়াল করা হয়েছে। মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ হলে সংসদে ৩৩ শতাংশ রিজারভেশন থাকবে মহিলাদের জন্য। বর্তমানে খুব কম দলই নিজে থেকে এক তৃতীয়াংশ টিকিট মহিলাদের দেয়।