গার্হস্থ্য হিংসা নিয়ে এবার কেন্দ্রের কাছে তথ্য চাইল সুপ্রিম কোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে এনিয়ে কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। আইন তো তৈরি হয়েছে, কিন্তু বাস্তবে সেই আইন কতটা কার্যকরী হয়েছে তা নিয়েও জানতে চাইছে আদালত। জাস্টিস ইউ ইউ ললিত, এস রবীন্দ্র ভাট ও পিএস নরসিংহের বেঞ্চ জানিয়েছে, একটা সুন্দর আইন তৈরি করাটা একটা ব্যাপার কিন্তু বাস্তবে আইনের সেই বন্ধনকে শক্তপোক্ত করার জন্য মেকানিজম কতটা শক্তপোক্ত এটাও দেখতে হবে।
ইউ দ্য ওমেন অফ ইন্ডিয়া নামে একটি এনজিও জনস্বার্থ মামলা করেছিল এনিয়ে। তারা আদালতকে জানিয়েছিল, এই আইন প্রয়োগের জন্য যে প্রটেকশন অফিসাররা রয়েছেন তা যথেষ্ট নয়। এনজিওর পক্ষে অ্যাডভোকেট শোভা গুপ্তা আদালতে জানিয়েছেন, প্রটেকশন অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে কিন্তু যে মহিলারা ঘরোয়া হিংসার শিকার হচ্ছেন তাঁরা ওই অফিসারদের ব্যাপারে কিছুই জানেন না। এদিকে কেন্দ্রের তরফে হলফনামায় জানানো হয়েছে, ২৭টি রাজ্য় ও ৬টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ২৫৪১জন প্রটেকশন অফিসার রয়েছেন।
তবে বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে, এটা বলতে খুব ভালো লাগে যে ২৫০০ অফিসার রয়েছেন। কিন্তু এই সরকার রেভিনিউ অফিসার, সাব কালেক্টরদের প্রটেকশন অফিসারের অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়েছে। এটা আইনের উদ্দেশ্য ছিল না। কি করে আপনি আশা করেন যে একজন আইএএস প্রটেকশন অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন? এদিকে এই আইন প্রয়োগ নিয়ে কত অর্থ বরাদ্দ করা হয়, রাজ্যগুলিকে কতটা সহায়তা করা হয়, কত মামলা বকেয়া রয়েছে,প্রটেকশন অফিসারদের অনুপাত এসবই কেন্দ্রের কাছে জানতে চাইল আদালত।