মধ্যপ্রদেশে মঙ্গলবারও হল না আস্থা ভোট। আজ আস্থা ভোট না হলে ধরে নেওয়া হবে সরকার সংখ্যালঘু, রাজ্যপালের এই হুঁশিয়ারিকে অবজ্ঞা করে আস্থা ভোট করল না কমলনাথ সরকার। অন্যদিকে আস্থা ভোটের দাবিতে সুুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন শিবরাজ সিং চৌহান। এই প্রসঙ্গে মধ্যপ্রদেশ সরকারের উত্তর জানতে নোটিস পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
বুধবার সকালে কমলনাথ সরকারকে সুপ্রিম কোর্টে শিবরাজ চৌহানের আপিলের বিষয় নিজেদের মতামত জানাতে হবে। প্রসঙ্গত ২২ জন বিধায়ক বিদ্রোহ করেছেন কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে। তাদের অনুপস্থিতিতে এই মুহুর্তে সংখ্যালঘু কমলনাথের কংগ্রেস সরকার।
অন্যদিকে রাজ্যপালকে চিঠিতে কমলনাথ বলেছেন আজ আস্থাভোট করা সম্ভব না। তিনি বলেন কেন্দ্রীয় সরকারের উপদেশের ভিত্তিতে করোনার জেরে বিধানসভা মুলতুবি করা হয়েছে। আজকের মধ্যে আস্থা ভোট না নিলে মনে করা হবে যে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই, রাজ্যপালের এই দাবির কোনও সাংবিধানিক ভিত্তি নেই বলেও লালজি ট্যান্ডনকে বলেছেন কমলনাথ।
ছয় জনের ইস্তফা গ্রহণ করেছেন স্পিকার। বাকিদের হয়ে আইনজীবী আদালতকে বলেন তাদের ইস্তফাও যেন গৃহীত হয়।
শিবরাজের দাবি যেনতেন প্রকারে গদি বাঁচাতে চাইছেন কমলনাথ। হালে মহারাষ্ট্র সংকটের কথাও বলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী যেখানে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আস্থাভোট নিতে বলেছিল আদালত। স্পিকার ছয় কংগ্রেস বিধায়কের ইস্তফা নেওয়ার পর দলের আপাতত ১০৮ বিধায়ক আছে। এর মধ্যে ১৬ জন বিদ্রোহী। অন্যদিকে বিজেপির ১০৭ বিধায়ক। বর্তমানে বিধানসভার সদস্য সংখ্যা ২২২। ১৬ জনের ইস্তফা গৃহীত হয়ে গেলে সংখ্যাগরিষ্ঠের সংখ্যা হবে ১০৩। অঙ্কটি খুব সাফ, যেকারণেই আস্থা ভোটের জন্য জোর করছেন শিবরাজ সিং চৌহান।