আব্রাহাম থমাস
পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিয়ন্ত সিংয়ের খুনের ঘটনায় বলবন্ত সিং রাজোয়ানাকে ক্ষমার বিষয়টি বিবেচনার জন্য দু মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সুপ্রিম কোর্ট। ২০০৭ সালে রাজোয়ানাকে মৃত্যুদন্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে তিনি তখন হাই কোর্টে বা সুপ্রিম কোর্টে এর বিরুদ্ধে কোনও আবেদন জানাননি। তবে বছর দুয়েক আগে একটা আবেদন করা হয়েছিল তার মৃত্যুদন্ড রদ করার জন্য। এরপরই সিবিআই,আইবির সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক একটা সিদ্ধান্ত নেয় যে তাকে মৃত্যুদন্ড না দিয়ে যেন যাবজ্জীবন দেওয়া হয়। গুরু নানকের ৫৫০ তম জন্মবার্ষিকীতে বিষয়টি বাস্তবে রূপ দেওয়ার কথা বলাও হয়েছিল।
এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার ও সিবিআইকে এনিয়ে দৃঢ় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়। গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে একটি হলফনামা দিয়ে জানানো হয়, ২০১২ সাল থেকে ক্ষমার আবেদনটি ঝুলে রয়েছে। তবে এটি রাজোয়ানার পক্ষ থেকে শিরোমণি গুরুদোয়ারা প্রবন্ধক কমিটি জানিয়েছিল। তবে দেশের রাষ্ট্রপতিই এই ক্ষমার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারেন।
এদিকে বিচারপতি ইউ ইউ ললিত, এস রবীন্দ্র ভাট, পিএস নরসিংহের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, তারা সকলেই আমাদের নাগরিক। এটা যেহেতু মৃত্যুদন্ডের ব্যাপার, সেক্ষেত্রে আমাদের সহানুভূতি থাকা দরকার।আদালত জানিয়েছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এনিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আজ থেকে দুমাসের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে কেন্দ্র জানিয়েছে, রাজোয়ানার বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা নেই। এমনকী নিজেই মৃত্যুদন্ড চাইতেন তিনি।
প্রসঙ্গত ৩১শে অগস্ট ১৯৯৫ বোমা বিস্ফোরণে প্রাণ হারান বিয়ন্ত সিং। ২০০৭ সালে রাজোয়ানা ও তার সঙ্গীর মৃত্যুদন্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। তবে ২০১২ সালে পঞ্জাব ও হরিয়ানা আদালত সেই নির্দেশ স্থগিত রেখেছিল ২০১০ সালে।