এফআইআর দেরিতে হয়েছিল। সেই প্রসঙ্গের নিরিখে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট সদ্য এক ধর্ষণে অভিযুক্তকে মুক্তি দেয়। মামলা যায় সুপ্রিম কোর্টে। বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও জেপি পাড়ডিওয়ালার বেঞ্চে শুনানি হয় মামলার। আর সেখানেই ধর্ষমে অভিযুক্তের এভাবে মুক্তিকে 'বোধগম্য হওয়ার বাইরে' বলে আখ্যা দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
শীর্ষ আদালত বলছে, মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের এই রায় কার্যত 'হৃদয় বিদারক'। আদালত একই মামলা ফের ওঠা নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলে, 'আমরা বলেছি যে হাইকোর্টের অবাস্তব আদেশ একেবারেই বোধগম্য নয়। আমাদের এমন এক কেস নিতে হচ্ছে যেখানে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট একজন ধর্ষণে অভিযুক্তকে কেবল এফআইআর দেরিতে হওয়ার জেরে অব্যহতি দিয়েছে মামলা থেকে।' তবে আদালত এও বলেছে যে, হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে তাতে অন্যভাবে ভাবা হয়ে থাকতে পারে মামলাটি। হাইকোর্টমনে করে থাকতে পারে যে দেরিতে এফআইআর করে গোটা মামলাটি ঘটনায় নির্যাতিতার বাবা মা সাজিয়ে তুলেছেন। রয়ে গিয়েছে সন্দেহ। তবে সুপ্রিম কোর্ট বলছে, এখনও এই মামলা শুরু হতে পারে, সিআরপিসির সেকশন ৪৮২ ও সেকশন ৩৯৭ নিয়ে। এই মামলায় নতুন করে এই ধারার আওতায় পিটিশন দাখিল করা যেতে পারে। চলন্ত বিমানে বেঘোরে ঘুমিয়ে পড়লেন দুই পাইলট! প্লেন নিয়ে পৌঁছে গেলেন কোথায়?
আদালত জানিয়েছে, যখন একজন অভিযুক্ত তাকে মুক্তি দেওয়ার জন্য মামলা বন্ধ করার আবেদন জানায় সেখানে শীর্ষ আদালত কোনও কোর্টের নির্দেশের মধ্যে নাক গলাবে না, যদি না সেই মামলা বৃহত্তর স্বার্থের সঙ্গে জড়িত থাকে। এছাড়াও সুপ্রিম কোর্ট মধ্যপ্রদেশ সরকারের দিকে তীব্র বার্তা দিয়ে সাফ ভাষায় জানায় যে কেন এই মামলায় মধ্যপ্রদেশ সরকার কোনও পাল্টা চ্যালেঞ্জ করেনি রায়কে? কারণ রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার দায়িত্বে রাজ্য প্রশাসন থাকবে। সেই কারণেই এই চ্যালেঞ্জ আশা করা যায়।