বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > করবেট ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্পে বাস প্রবেশের অনুমতিতে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

করবেট ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্পে বাস প্রবেশের অনুমতিতে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

সুপ্রিম কোর্ট। (ফাইল ছবি, সৌজন্য হিন্দুস্তান টাইমস)

করবেট ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্পের মূল এলাকার (কোর এরিয়া) মধ্যে বাস চলাচলের যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তাতে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। সেইসঙ্গে উত্তরাখণ্ড সরকার, ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্পের অধিকর্তা, কেন্দ্র, ন্যাশনাল বোর্ড ফর ওয়াইল্ড লাইফ এবং ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটিকে নোটিশ জারি করা হয়েছে।

উত্তরাখণ্ড সরকারের তরফে করবেট ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্পের মূল এলাকার মধ্যে বাস পরিষেবার অনুমোদন দেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই গত ডিসেম্বরে রাজ্য বন দফতরের থেকে স্টেটাস রিপোর্ট তলব করে ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটি। তারইমধ্যে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘন এবং সে বিষযে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন আইনজীবী এবং বন্যপ্রাণী কর্মী গৌরব কুমার বনশল।

বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের বেঞ্চ আইনজীবী বনশনের আপত্তিকে গুরুত্ব দিয়ে অধিকর্তার জারি করা নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেয়। জানা গিয়েছে, গত বছর ডিসেম্বর মাসে উত্তরাখণ্ডের বন দফতর গারওয়াল মোটর ওনার্স ইউনিয়ন লিমিটেডকে অনুমতি দিয়ে করবেট ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্পের মধ্য দিয়ে বাস পরিষেবা শুরু করতে। পরে কোভিড পরিস্থিতিতে একটি বাস চালু রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ৩০ জন যাত্রী নিয়ে।

এই নিয়েই বনশল আপত্তি তুলে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। তিনি আবেদনে জানান, সিটিআর অধিকর্তা ১৯৭২ সালের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনকে লঙ্ঘন করেছেন। এমনকী আদালত যে নির্দেশ দিয়েছিল তাও মানেননি। এখানে অনেক বেআইনি কাজকর্ম হয় বলেও অভিযোগ তুলেছেন তিনি। আইন ভাঙার পাশাপাশি ব্যাঘ্র নিরাপত্তা ও সংরক্ষণের সঙ্গে আপস করা হয়েছে।

তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, উত্তরাখণ্ড সরকার এবং তাঁদের বন দফতর কোনও অনুমতি নেয়নি ন্যাশনাল বোর্ড অফ ওয়াইল্ড লাইফের থেকে। কিন্তু বাসকে জঙ্গলের কোর এরিয়ায় ঢুকতে অনুমতি দিয়েছিল। তার ভিত্তিতে শীর্ষ আদালত এই বাস পরিষেবার উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে।

বন্ধ করুন