কৃষি আইনের ওপর সুপ্রিম স্থগিতাদেশ, জট খুলতে কমিটি গঠন করল শীর্ষ আদালত
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 12 Jan 2021, 02:17 PM IST- চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছে সুপ্রিম কোর্ট
প্রত্যাশিতই ছিল সোমবারে সুপ্রিম কোর্টের অবস্থানে। সেই মতোই প্রধান বিচারপতি বোবডের ডিভিশন বেঞ্চ কৃষি আইনের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করল। একই সঙ্গে চার সদস্যের কমিটি গঠন করল শীর্ষ আদালত যারা বিচার বিবেচনা করে দেখবে বিতর্কিত আইনের বিভিন্ন অধ্যায় নিয়ে।
সাময়িক ভাবে স্থগিত করলেও এটা যে দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্ত নয়, সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তবে এদিন বেশ কিছু চাষী সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে তারা কমিটির সঙ্গে কথা বলবে না। তাই আদপেও কমিটি গড়ে জট খুলবে কিনা, সেই নিয়ে সংশয় থেকেই গেল।
সোমবার সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে তারা কমিটি গঠন করবে। যেভাবে আলোচনা চলছে, সেই নিয়ে কেন্দ্রকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছিল শীর্ষ আদালত। কোনও রক্তক্ষয় হলে দায় কে নেবে, সেই প্রশ্নও তোলে আদালত। পর্যাপ্ত আলোচনা না করেই এই আইন আনা হয়েছে, কার্যত সেই কথা বলে এই সমস্যা কেন্দ্রকেই মেটাতে হবে বলে জানায় শীর্ষ আদালত।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে সেই মোতাবেক কমিটি গঠন করা হয়েছে। আদালতের আশা এই কমিটি তিনটি কৃষি আইনের খুঁটিনাটি বিচার করে বলতে পারবে কোন কোন ধারা আপত্তিজনক। কমিটিতে আছে কষিনেতা ভূপিন্দর মান, অশোক গুলাটি, অর্থনীতিবিদ, প্রমোদ যোশী, কৃষি বিশেষজ্ঞ, অনিল ধানাওয়াত, কৃষি নেতা।
এদিন আইনজীবী হরিশ সালভে বলেন যে সুপ্রিম কোর্ট যেন অর্ডারে সাফ করে দেয় এটা কোনও পক্ষের হার জিত নয়। আদালত তখন বলে যে এটা ফেয়ার প্লে বা সমনীতির জয়।এদিন প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে চাষীদের বিক্ষোভ নিয়ে একপ্রস্ত বিতর্ক হয়। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন যে খালিস্তানপন্থীরা এই বিক্ষোভে সামিল হয়েছে ও তারা ২৬ জানুয়ারি ঝামেলা পাকাতে পারে। এই নিয়ে আদালত সরকারকে হলফনামা জমা দিতে পারে। এদিন কৃষকদের আইনজীবী দুষ্মন্ত দাভে আদালতে হাজির ছিলেন না। তবে পিটিশনার এমএল শর্মা বলেন যে কৃষকদের থেকে তিনি জানতে পেরেছেন যে তারা কমিটির সামনে আসতে চায় না।
তবে সুপ্রিম কোর্ট বলে যে সবার মন জুগিয়ে চলা সম্ভব নয়। কমিটি আইন প্রক্রিয়ারই অংশ হবে বলে জানায় আদালত। আদালত বলে যে যারা সমস্যা সমাধানে আগ্রহী তারা যেন কমিটির কাছে যায়। কমিটি নিজের থেকে কিছু করবে না, সুপ্রিম কোর্টকে রিপোর্ট দেবে বলে জানায় আদালত। আইনের বৈধতা ও বিক্ষোভকারীদের জীবন ও সম্পত্তি যাতে সংরক্ষিত হয়, সেই কথাই জানায় সুপ্রিম আদালত।