উত্তরপ্রদেশ সরকারকে রাজ্যে ৬৯ হাজার সহকারি শিক্ষক নিয়োগের জন্য নতুন বাছাই তালিকা প্রস্তুত করতে এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
২০২০ সালের জুন এবং ২০২২ সালের জানুয়ারিতে রাজ্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারি করা সহকারি শিক্ষকদের বাছাই তালিকা বাতিল করে হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত, যার মধ্যে ৬,৮০০জন প্রার্থী অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
হাইকোর্টের রায় স্থগিত রাখার পাশাপাশি প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও মনোজ মিশ্রকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ রাজ্য সরকার এবং উত্তরপ্রদেশের বেসিক এডুকেশন বোর্ডের সচিব সহ অন্যান্যদের রবি কুমার সাক্সেনা ও আরও ৫১ জনের আবেদনের ভিত্তিতে নোটিশ জারি করেছে।
শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, এই বিষয়ে চূড়ান্ত শুনানি হবে এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলির আইনজীবীকে সাত পৃষ্ঠার বেশি সংক্ষিপ্ত লিখিত নোট জমা দিতে বলা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের ওই বেঞ্চে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা, বিচারপতি মনোজ মিশ্র রাজ্য সরকারের কাছে নোটিশ পাঠিয়েছিল। এই মামলার পরের শুনানি হবে ২৩ সেপ্টেম্বর। এই মামলার সমস্ত পক্ষকে লিখিত নোট দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে সেটা যেন সাত পাতার বেশি না হয় সেটা দেখতে হবে।
বেঞ্চ বলেছে যে ২৩ শে সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া সপ্তাহে আবেদনটি শুনানির জন্য স্থির করা হবে।
উত্তরপ্রদেশ সরকারের হয়ে সওয়াল করেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটি।
গত অগস্ট মাসে হাইকোর্ট রাজ্যে ৬৯ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য রাজ্য সরকারকে নতুন করে বাছাই তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল।
গত বছরের ১৩ মার্চ সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মহেন্দ্র পাল ও অন্যান্যদের দায়ের করা ৯০টি বিশেষ আবেদনের নিষ্পত্তি করার সময় হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ জারি করেছিল।
হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে নতুন বাছাই তালিকা প্রস্তুত করার সময়, বর্তমানে কর্মরত সহকারি শিক্ষকদের চলতি শিক্ষাবর্ষ শেষ করার অনুমতি দিয়ে তাদের উপর যে কোনও বিরূপ প্রভাব প্রশমিত করতে হবে। পড়ুয়াদের পড়াশোনায় যাতে ব্যাঘাত না ঘটে তার জন্যই এই পদক্ষেপ।