২০১৬ সালে মোদী সরকারের নোটবন্দির সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখা হবে। বুধবার এমনটাই জানাল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত এই বিষয়ে কেন্দ্র এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে বিশদ হলফনামা দাখিল করতে বলেছে।
বিচারপতি এসএ নাজিরের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ আগামী ৯ নভেম্বর এই মামলার শুনানি করবে। বেঞ্চ জানিয়েছে, কোনও সাংবিধানিক বেঞ্চের কাছে কোনও সমস্যা তুলে ধরা হলে উত্তর দেওয়াটা তার কর্তব্য।
বেঞ্চ বলেছে, সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের পর্যালোচনার ক্ষেত্রে যে একটি অদৃশ্য 'লক্ষ্মণ রেখা' থাকে, সেই সম্পর্কে তাঁরা সচেতন। তা সত্ত্বেও তাঁরা ২০১৬ সালের নোট বাতিলের সিদ্ধান্তটি পরীক্ষা করে দেখতে চাইছেন। বিষয়টি নিছক 'অ্যাকাডেমিক' অনুশীলনে পরিণত হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে চাইছে বেঞ্চ।
অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরামানি বলেন, যতক্ষণ না ১৯৭৮ সালে পাশ হওয়া হাই ডিনোমিনেশন ব্যাঙ্ক নোটস (ডিমোনিটাইজেশন) অ্যাক্টের ভিত্তিতে সঠিকভাবে চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে, সমস্যাটি মূলত এই পর্যবেক্ষণগত পর্যায়েই থেকে যাবে।
বিচারপতি বিআর গাভাই, এএস বোপান্না, ভি রামাসুব্রমানিয়ান এবং বিভি নাগারথনার সমন্বয়ে গঠিত এসসি বেঞ্চ জানায়, এটি অ্যাকাডেমিক বা ফলপ্রসূ কিনা তা জানতে বিষয়টি পরীক্ষা করা দরকার।
'আমরা ভাল করেই জানি যে এই ক্ষেত্রে লক্ষ্মণ রেখাটা কোথায়। কিন্তু যে পদ্ধতিতে এটি করা হয়েছিল তা পরীক্ষা করতে হবে,' বলেছে বেঞ্চ।
১২ অক্টোবর সরকার ৫০০ এবং ১,০০০ টাকার নোট বাতিল করেছিল। সেই সময়ে শীর্ষ আদালতে নোটবন্দীকরণের পদ্ধতিকে চ্যালেঞ্জ করে একগুচ্ছ পিটিশন জমা পড়েছিল।
সিনিয়র আইনজীবী পি চিদাম্বরম, একটি পক্ষের হয়ে উপস্থিত হয়ে বলেন, বিষয়টি অ্যাকাডেমিক হয়ে যায়নি। তাই শীর্ষ আদালতকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
তাঁর দাবি, এই ধরনের নোট বাতিলের জন্য সংসদের একটি পৃথক আইন প্রয়োজন।