মুসলিমদের বহুবিবাহ ও 'নিকাহ হালালা' কি সাংবিধানিকভাবে বৈধ? সেই বিষয়টি নির্ধারণের জন্য নয়া পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করা হবে বলে জানাল সুপ্রিম কোর্ট। আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়ের আর্জির প্রেক্ষিতে শুক্রবার সেই কথা জানিয়েছেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।
ওই বিষয়টি নিয়ে পূর্ববর্তী পাঁচ সদস্যের বেঞ্চের দুই সদস্য তথা বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা অবসর গ্রহণ করায় শীর্ষ আদালতের নয়া বেঞ্চ গঠনের আর্জি জানিয়েছিলেন বর্ষীয়ান আইনজীবী উপাধ্যায়। যিনি গত বছর ২ নভেম্বরও শীর্ষ আদালতের সামনে একই বিষয় তুলে ধরেছিলেন।
উপাধ্যায়ের সেই আর্জির ভিত্তিতে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বিষয়টি বিবেচনা করে দেখেছে। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেছেন, ‘পাঁচ সদস্যের বেঞ্চের কাছে একাধিক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মামলা পড়ে আছে। আমরা একটি (পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ) গঠন করব এবং এই বিষয়টি মাথায় রাখব।’
এমনিতে মুসলিমদের বহুবিবাহ এবং 'নিকাহ হালালা'-কে অসাংবিধানিক হিসেবে ঘোষণা করতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন উপাধ্যায়। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে সেই মামলা খতিয়ে দেখেছিল সুপ্রিম কোর্ট এবং সাংবিধানিক বেঞ্চের কাছে বিষয়টি পাঠিয়ে দিয়েছিল। কারণ সাংবিধানিক বেঞ্চ একইরকম বিষয় নিয়ে মামলা শুনছিল।
তারইমধ্যে গত বছরের ৩০ অগস্ট জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, জাতীয় মহিলা কমিশন এবং জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনকে সেই মামলায় পার্টি করে সুপ্রিম কোর্ট। সেইসঙ্গে ওই তিন প্রতিষ্ঠানের জবাব তলব করেছিল শীর্ষ আদালতের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ। যে বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায় (২৩ সেপ্টেম্বর অবসর গ্রহণ করেছেন), বিচারপতি গুপ্তা (১৬ অক্টোবর অবসর গ্রহণ করেছেন), বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি এম এম সুন্দ্রেশ এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া।
বহুবিবাহ ও ‘নিকাহ হালালা’ কী?
মুসলিমদের ক্ষেত্রে বহুবিবাহের আওতায় চারজনের সঙ্গে বিয়ে করতে পারেন পুরুষরা। ‘নিকাহ হালালা’ আবার মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রয়োজ্য। কোনও মহিলা যদি বিবাহ বিচ্ছেদের পরে বিয়ে করতে চান, তাহলে ওই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রথমে একজনকে বিয়ে করতে হবে। সেই বিয়ে পূর্ণতা পাওয়ার পর ওই ব্যক্তির সঙ্গে বিচ্ছেদ করতে হয়।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)