কমলনাথকে আস্থাভোট নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে কোনও ভুল করেননি মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল। সোমবার এই কথা জানাল সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। তবে যেভাবে বিপক্ষ দলের বিদ্রোহী বিধায়কদের অন্যদলের এক জায়গায় রাখার ট্রেন্ড শুরু হয়েছে, সেই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সর্বোচ্চ আদালত।
এদিন সুপ্রিম কোর্ট বলে যে রাজ্যপাল যদি মনে করেন, শাসক সংখ্যালঘু, তাহলে আস্থা ভোট করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কিন্তু যেভাবে বিধায়কদের এক জায়গায় রাখা হয় সেটি গণতন্ত্রের পক্ষে ইতিবাচক নয় বলেও জানান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও হেমন্ত গুপ্তর বেঞ্চ।
কংগ্রেস বিধায়করা বিদ্রোহ করার পর মধ্যপ্রদেশে আস্থাভোট নিতে পারেন রাজ্যপাল। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই শীর্ষ আদালতে গিয়েছিলেন কমলনাথ। কিন্তু আপত্তি ধোপে টেকেনি। আস্থা ভোট নিতে বলে আদালত। তার আগেই ১৫ মাসের শাসনে ইতি টেনে ইস্তফা দেন কমলনাথ। এখন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব ফের সামলাচ্ছেন বিজেপির শিবরাজ সিং চৌহান।
এদিন ঐতিহাসিক এসআর বোম্মাই মামলার প্রসঙ্গ টেনে আদালত বলে রাজ্যপালের আচরণ অসাংবিধানিক ছিল না। তবে রাজনীতিতে যেভাবে ঘোড়া কেনাবেচার কথা উঠে আসছে, সেই নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট।