আজই ছিল দেশের প্রধান বিচারপতির পদে ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের শেষ কর্মদিবস। আর সেই দিনেই আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বড় রায় ঘোষণা করল সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালত, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যালঘু তকমা পুনর্মূল্যায়নের নির্দেশ দিয়েছে। তবে এর আগে, সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান নয়। সেই রায় আজ খারিজ করে দেয় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। এদিকে, সুপ্রিম কোর্টের রায় আসতেই তা নিয়ে উল্লাসে ফেটে পড়েন আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা সহ অনেকেই। অধ্যাপক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ আধিকারিক, কে কী বললেন দেখা যাক।
শুক্রবার সকাল থেকেই আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশ থমথমে ছিল। ব্যাপক পুলিশ নিরাপত্তার ঘেরাটোপ ছিল। প্রশ্ন ছিল আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় কি এবার তার সঙ্গে সংখ্যালঘু তকমা নিয়ে এগোতে পারবে? তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট কী বলে, সেদিকে তাকিয়ে ছিল গোটা আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। এরপর বেলা গড়াতেই সুপ্রিম কোর্টে মামলা শুরু হয়। আসে রায়। এরপরই দেখা যায় আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে মিষ্টি বিতরণের ছবি। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ আধিকারিক ওমর এস পিরজাদা বলেন,'আমরা কোর্টের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং রায়ের বিশদটি সম্পূর্ণরূপে পরীক্ষা করার জন্য আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। একবার আমাদের উপযুক্ত প্রশাসনিক দল তার পর্যালোচনা শেষ করলে, আমরা মিডিয়ার সমস্ত প্রশ্নের বিস্তারিতভাবে কিছু বলার অবস্থানে থাকব।' বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এমজে ওয়ারসি বলেন,' এটি একটি ঐতিহাসিক রায়। সুপ্রিম কোর্ট আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যালঘু অ্যাক্টের সাংবিধানিক বৈধতা বহাল রেখেছে। ১৯৬৭ সালের মামলা এস. আজিজ বাশা বনাম ভারত সরকারের মামলার রায়কে সরিয়ে এই রায় দেওয়া হয়েছে। বিশ্বের সব প্রান্তে থাকা আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের গোটা কমিউনিটি খুশি।'
( Social Media Ban: বয়স ১৬র নিচে হলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিষেধাজ্ঞা! এমনই আইন আনতে চলেছে ভারতের বন্ধু দেশ)
এদিকে, সমাজবাদী পার্টির নেতা আমিক জামেইও এই ইস্যুতে মুখ খোলেন। তিনি বলেন,' আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় গোটা দেশে আনন্দের স্রোত বইয়ে দিয়েছে...এটা আলিগড় আন্দোলনের জয়। এই রায়টি বোঝায় যে এই দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু বা ভাষাগত সংখ্যালঘু মানুষদের, তাঁদের নিজস্ব বিশ্ববিদ্যালয় বা স্কুল প্রতিষ্ঠার অধিকার রয়েছে।'