প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লির বুকে হওয়া হিংসা নিয়ে তদন্তে হস্তক্ষেপ করবে না সুপ্রিম কোর্ট,বলে জানিয়ে দিল প্রধান বিচারপতি বোবডের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন বেঞ্চের পক্ষ থেকে বলা হয় যে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আইন নিজের পথ নেবে, তারা সেটিকে মেনে নিয়েছে। ফলে আলাদা করে সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানিয়েছে বেঞ্চ। অন্যদিকে এখনও অধরা লালকেল্লায় হিংসার অন্যতম অভিযুক্ত দীপ সিধু। তাকে ধরার জন্য এবার নগদ অর্থ ঘোষণা করল দিল্লি পুলিশ। দীপ সিধুর খোঁজ দিতে পারলে এক লাখ টাকা দেবে পুলিশ।
এদিন শুনানির শুরুতেই সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে বলা হয় যে প্রধানমন্ত্রী যে কথা বলেছেন দিল্লি হিংসা নিয়ে, তারা সেই কথার ভিত্তিতে চলবেন। তদন্ত যখন হচ্ছে, তখন চলুক, তাতে হস্তক্ষেপ করা হবে না। তখন আবেদনকারীর পক্ষ থেকে বলা হয় যে এটা দেখা দরকার যে একতরফা তদন্ত যেন না হয়। সুপ্রিম কোর্ট যদিও সেই কথার তেমন পাত্তা দেয় নি। আদালত বলে যে তদন্ত মানেই তো হল যে সব পক্ষকে শোনা হবে। কৃষি বিল বেআইনি ভাবে পাশ করা হয়েছে, সেই অভিযোগ করা হয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট বলে যে আলাদা করে তো কৃষি আইন সংবিধান সম্মত কিনা, সেই মামলা দায়ের হয়েছে। সেখানেই এর বিচার করা হবে।
অন্যদিকে দীপ সিধু সহ আট সন্দেহভাজনের খোঁজ দিলে এক লাখ টাকা করে দেওয়ার কথা বলেছে দিল্লি পুলিশ। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে লাল কেল্লায় যে গণ্ডগোল হয়েছে তার নেপথ্যে ছিলেন এইসব প্রতিবাদীরা। নিজের ফেসবুক লাইভে কার্যত অবশ্য সেই কথা স্বীকারও করেছিলেন দীপ সিধু। পরে অবশ্য তিনি বলেন যে একা তিনি নয়, কৃষকরাই নিজেদের আবেগের বশে লাল কেল্লায় পতাকা উত্তোলন করতে গিয়েছিলেন।
এছাড়াও অন্য চারজনকে গ্রেফতার করতে পারলে আরো ৫০ হাজার টাকা উপহার দেবে পুলিশ। সূত্রের খবর লাল কেল্লায় পতাকা উত্তোলন করেন পঞ্জাবের যুগরাজ সিং। লাল কেল্লায় হওয়ার হিংসায় আহত হন ৪০জন পুলিশ। এই সংক্রান্ত দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সবমিলিয়ে সারা দিল্লি জুড়ে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে ১২৩জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, দায়ের করা হয়েছে ৪৪টি কেস। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ১৪টি ট্র্যাক্টর।