১০ জুন রাজ্যসভার নির্বাচন। রাজ্যসভার নির্বাচন হয়ে গেলেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হয়ে যাবে। দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি কে হবেন, তা নিয়ে শাসক ও বিরোধী শিবিরে জোর আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। বিরোধী শিবির সম্মিলিতভাবে কাউকে প্রার্থী হিসাবে দাঁড় করাতে পারেন কিনা, এখন সেটাই দেখার।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট হয়। ভোটের অঙ্কের বিচারে শাসক দল বিজেপির ভোট বিরোধী শিবিরের থেকে কম রয়েছে। বিরোধী শিবিরের থেকে বিজেপির ভোট ২.২ শতাংশ কম রয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে এমন একজনকে খোঁজা হচ্ছে, যাকে অন্ধ্রপ্রদেশের জগনমোহন রেড্ডির দল সমর্থন দিতে পারে। পাশাপাশি ওড়িশার নবীন পট্টনায়কেরও সমর্থন আদায় করে নিতে চাইছে বিজেপি। উল্লেখ্য, অন্ধ্রপ্রদেশের জগনমোহনের দলের ভোট রয়েছে ৪ শতাংশ। অন্যদিকে ওড়িশার নবীন পট্টনায়কের দলের ভোট রয়েছে ২.৯ শতাংশ। জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন না মুক্তার আব্বাস নাকভি ও রামচন্দ্র প্রসাদ সিং। দু'জনের কাউকেই বিজেপি ও জেডিইউয়ের থেকে টিকিট দেওয়া হয়নি।
এদিকে কংগ্রেস অবশ্য প্রার্থী দেওয়ার ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাকে প্রার্থী করছেন, সেটা দেখে নিয়েই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কংগ্রেস। তৃণমূলের দেওয়া প্রার্থীকে যদি পছন্দ হয় কংগ্রেস নেতৃত্বের, তাহলে তাঁকেই সমর্থন করা হবে। বিরোধী শিবির যদি ঐক্যবদ্ধভাবে কাউকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করে, তাহলে বিজেপির পক্ষে তাঁদের পছন্দের প্রার্থীকে জিতিয়ে আনা কষ্ট হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, আগামী ২৪ জুলাই কার্যকালের মেয়াদ শেষ হচ্ছে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের।