শ্রেণি বৈষম্যকে কেন্দ্র করে সমাজের আরও এক করুণ ছবি ফুটে উঠতে দেখা গেল মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলায়। সেখানে এক বর্ণভেদ প্রথার অন্ধকারে ডুবে এক বিয়ের আসর ঘিরে তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয়। জানা গিয়েছে, এক তপশিলী জাতিভূক্ত ব্যক্তি তাঁর বিয়ের দিন ঘোড়ায় চড়তেই এলাকার উচ্চবর্ণের কয়েকজন টার্গেট করে ওই বিয়েবাড়িকে। শেষে ২০ জন মিলে বিয়েবাড়িতে হামলা করে বলে অভিযোগ। ঘটনায় পুলিশ ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে।
কেন নিম্নবর্ণের বর ঘোড়ায় চড়বেন? এই প্রশ্ন তুলে উচ্চবর্ণের কয়েকজন এলাকাবাসী বিয়ে বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনার জেরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় বিয়েবাড়িতে। মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার এই ঘটনা আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেশে শ্রেণি বৈষম্যের এক করুণ চিত্র তুলে ধরেছে। সাগর জেলার গ্যানিয়ারি গ্রামে এক নিম্নবর্ণের পরিবারে চলছিল বিয়ের আসর। এই বিয়ে ঘিরে আগে থেকেই পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে রেখেছিল পরিবার। সেখানে বিয়েআগে থেকেই হবু বর দিলীপ আহিরওয়ারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে খবর। তপশিলী জাতিভূক্ত দিলীপের ঘোড়ায় চড়ে বিয়ে করতে আসা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল এলাকার উচ্চশ্রেণির কিছু পরিবার। তারপরই দিলীপ পুলিশের দ্বারস্থ হয়। চাওয়া হয় নিরাপত্তা। এরপর বিয়ের রাতে এলাকার উচ্চ শ্রেণির প্রতিনিধি হিসাবে পরিচিতি দেওয়া ধর্মেন্দ্র লোধি ১৯ জনকে সঙ্গে নিয়ে দিলীপের বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
পুলিশের অ্যাডিশনাল সুপারিন্টেডেন্ট বিক্রম সিং কুশওয়াহা জানিয়েছেন, 'মূল অভিযুক্ত ধর্মেন্দ্র লোধি ও তার সঙ্গীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।' জানা গিয়েছে, ধর্মেন্দ্র লোধি , বিয়ের রাতে আহিরওয়ার পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেয়। পাশাপাশি পর পর গাড়ি ভাঙচুর করে তাণ্ডব চালাতে থাকে। এরপরই আহিরওয়ার পরিবারের তরফে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৮ ধারা ও এসসিএসটি অ্যাক্ট অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় ২০ জনকে। এরপর যাতে গ্রামে শ্রেণি বৈষম্যকে কেন্দ্র করে আর কোনও গণ্ডোগোল না হয়, তার জন্য এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে পুলিশ সূত্রে।