শ্রুতি তোমার
স্কুল চত্বরে মাজারের মতো মঞ্চ বানানোর অভিযোগ। ভূপালের বিদিশা জেলার সিএম রাইস গভর্নমেন্ট স্কুলের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে সাসপেন্ড করা হল বৃহস্পতিবার।
এদিকে স্কুলের অধ্যক্ষ সায়না ফিরদৌসকে গত অগস্ট মাসে অন্য স্কুলে ট্রান্সফার করা হয়েছিল। কিন্তু ন্যাশানাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস সম্প্রতি এব্যাপারে নাড়াচাড়া শুরু করেন।
বৃহস্পতিবার NCPCR চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো স্কুল পরিদর্শন করেন। এদিকে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বালিরাম সাহু যে অভিযোগ করেছিলেন সেটা তিনি খতিয়ে দেখেন।
ওই শিক্ষকের অভিযোগ, প্রিন্সিপাল মা সরস্বতীর মূর্তি স্কুলে রাখতে দিতেন না। জাতীয় সংগীতওও প্রেয়ারের সময় গাইতে দিতেন না। প্রিন্সিপালের স্বামী ওই স্কুলেরই ফিজিক্যাল টিচার ছিলেন। তিনি মাজারের জন্য় মঞ্চও করে ফেলেছিলেন।
বিভাগীয় কমিশনার বৃহস্পতিবারই ওই অধ্যক্ষকে সাসপেন্ড করেছেন। NCPCR চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো জানিয়েছেন, স্কুলে বড়সর অনিয়ম পাওয়া গিয়েছে। বিস্তারিত তদন্ত হবে এনিয়ে।
এদিকে জেলা শিক্ষা আধিকারিক অতুল কুমার জানিয়েছেন, মাজারের মতো মঞ্চটা কয়েক মাস আগেই তৈরি হয়েছে। তবে প্রিন্সিপাল জানিয়েছেন, ওখানে কিছুই হত না। তিনি জাতীয় সংগীত গাইতে বারণ করেননি।
তবে অভিযোগকারীর দাবি, আয়ে মালিক তেরে বন্দে হাম স্কুলে গাওয়ানো হত। স্কুলের বর্তমান প্রিন্সিপালের দাবি, আগের প্রিন্সিপাল জাতীয় সংগীত গাইতে দিতেন না।
তবে সায়না ফিরদৌস জানিয়েছেন, প্রিন্সিপালের চেয়ারে বসার জন্য় ষড়যন্ত্র হয়েছে। এক শিক্ষকের দাবি, মাজারটা বহুদিন ধরেই আছে। সম্প্রতি শুধু সংস্কার হয়েছিল। আর সরস্বতীর ছবি সব প্রোগ্রামেই ব্যবহার করা হত। সায়না ফিরদৌস কোনওদিন তাতে বাঁধা দেননি।