স্কুলে ভুল করে বিরিয়ানি এনে ফেলেছিল। ভুল বলতে এই টুকুই। আর সেই ননভেজ বিরিয়ানি আনার জেরে ৭ বছর বয়সি ওই স্কুলছাত্রকে এবার স্কুল থেকেই বরখাস্ত করা হল। উত্তরপ্রদেশের আমরোহার হিলটন পাবলিক স্কুলের ঘটনা। তাকে এবার নতুন স্কুলে ট্রান্সফার করা হবে। সেই সঙ্গে তার দুই দাদাভাইকেও ট্রান্সফার করা হবে অন্য স্কুলে।
আসলে তার মা আর চায় না ওই স্কুলে তাদের সন্তানদের পড়াতে। স্কুল কর্তৃপক্ষও এতে রাজি হয়ে গিয়েছে বলে খবর। হিলটন পাবলিক স্কুল বকেয়া যে ফিজ রয়েছে সেটার অঙ্ক প্রায় ৩৭,০০০ টাকা সেটা মকুব করে দিচ্ছে। শিক্ষাদফতর তাদের পরবর্তী স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে যে খরচ সেটা দিয়ে দেবে।
তবে এভাবে কেবলমাত্র বিরিয়ানি নিয়ে আসার জন্য স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এদিকে গোটা ঘটনায় ইতিমধ্যেই স্কুল কর্তৃপক্ষ স্কুলের প্রিন্সিপালকে সরিয়ে দিয়েছে। বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।
জেলা শিক্ষা দফতর জানিয়েছে ওই শিশুর ট্রান্সফার প্রসেসের ব্যাপারে সবরকম সহযোগিতা করা হচ্ছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ ও শিশুর মায়ের সঙ্গেও কথা বলেছে শিক্ষা দফতর। উভয় পক্ষই ট্রান্সফারে রাজি হয়েছে। শিক্ষা দফতর অন্যান্য স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাচ্চাটির স্কুলে ভর্তির ব্যবস্থা করছে।
সরকারি তরফে জানানো হয়েছে একবার ট্রান্সফার সার্টিফিকেট পেলেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সূত্রের খবর, ওই স্কুল ছাত্র স্কুলের টিফিনে বিরিয়ানি নিয়ে এসেছিল। কিন্তু সেই বিরিয়ানি ছিল ননভেজ। লাঞ্চবক্সে সেই বিরিয়ানি ছিল। এরপরই স্কুলের প্রিন্সিপাল ও বাচ্চাটির মায়ের মধ্য়ে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। সেটা ভিডিয়ো তোলা হয়। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয় সোশ্য়াল মিডিয়ায়। এদিকে বাচ্চাটির মায়ের দাবি আমার ছেলের সঙ্গে বৈষম্যমূলক ব্যবহার করা হয়েছে। এটা কিছুতেই মানব না। আমার ছেলে কী খাবে না খাবে তার উপরেও নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।