Science News: শীতের রাত। বেশ ঠাণ্ডা লাগছে। চারপাশে একেবারে অমাবস্যার আঁধার। এই অবস্থায় হঠাৎ করে হয়তো দেখতে পেলেন একরাশ সূর্যের আলো। জানলা ভেদ করে সোজা আপনার বিছানায়, কম্বলের উপর। চমকে উঠলেন নাকি। উঠলেও এমনটা সত্যি হতে ঘটতে চলেছে আর কিছুদিন পর। কারণ উপগ্রহের সাহায্য নিয়ে এবার শুরু হতে চলেছে সৌরশক্তি সংরক্ষণের কাজ। এর ফলে রাতেও রোদ পাওয়া যাবে। দরকারমতো ফোনে অর্ডার দিলেই কিছুক্ষণের জন্য ভাড়া পাওয়া যাবে রোদ। সেই রোদ গায়ে মেখে নিজেকে উষ্ণ করে নিতে পারবেন যে কেউ। এই পুরো ব্যবস্থাটাই সম্প্রতি তৈরি করছে একটি আমেরিকান সংস্থা।
আমেরিকান সংস্থার কামাল
আমেরিকার একটি স্টার্ট আপ সংস্থার কর্ণধার বেন নোয়াক। তিনি এবার রোদের বিক্রি করবেন বলে মনস্থ করেছেন। অনলাইনে সেই রোদ অর্ডার দেওয়া যাবে। দিলেই নির্দিষ্ট বাড়ির ছাদে রোদ পৌঁছে যাবে। সময় মেপে সেই রোদ পোহানোর পর সাপ্লাই বন্ধ করে দেবে সংস্থা। রোদের এমন ব্যবসাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ হতে চলেছে বলে মনে করেন তিনি।
কৃত্রিম উপগ্রহদের সাহায্যে
তাঁর কথায়, এই পুরো ব্যবস্থাটাই করা হবে উপগ্রহদের মাধ্যমে। ৫৭টি কৃত্রিম উপগ্রহদের এই কাজে লাগানো হবে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩৭০ মাইল উপরে সেগুলি স্থাপন করা হবে। এর প্রতিটিতে থাকবে উচ্চ প্রতিফলক ক্ষমতাসম্পন্ন ৩৩ বর্গফুটের পলিয়েস্টার ফিল্মের মাইলার দর্পণ। এই দর্পণগুলির মধ্যেই রয়েছে আসল ম্যাজিক। এগুলি সূর্যাস্তের পরেও সূর্যের আলোকে প্রতিফলিত করতে পারবে। সেই প্রতিফলিত আলোই এসে পৌঁছাবে পৃথিবীতে।
কীভাবে সূর্যের আলো পৌঁছাবে আপনার ছাদে?
এই প্রসঙ্গে বেন জানিয়েছেন অক্ষ ও দ্রাঘিমাংশের কথা। অক্ষ ও দ্রাঘিমাংশ ঠিক করে দিলেই ওই আলো নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে যাবে। ফলে কারও বাড়ির ছাদে বা উঠোনে আলো পৌঁছে দেওয়া কোনও ব্যাপারই না বলে জানিয়েছেন তিনি।
মূল উদ্দেশ্য সৌরশক্তি উৎপাদন
এই বিশেষ প্যানেলটির মূল উদ্দেশ্য সৌরশক্তি উৎপাদন। ভবিষ্যতের জন্য যাতে রাতেও সৌরশক্তি উৎপাদন করা যায়, সে কারণেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানাচ্ছেন বেন। তাঁর কথায়, ব্যক্তিগতভাবে অর্ডার দিলে রোদ ভাড়া দেওয়া হবে। কিন্তু মূল উদ্দেশ্য গোটা পৃথিবীর জন্য সৌরশক্তি উৎপাদন।