টিনা-লোহা-কাগজ বিক্রি। দিনে ৩০০ টাকা আয়। কোনও কোনওদিন তাও হয় না। তার থেকেই টাকা বাঁচিয়ে মাঝে মাঝে লটারি কিনতেন শেখ জমিউল। সেই লটারিই ঘুরিয়ে দিল ভাগ্য! লটারিতে প্রথম পুরস্কার জিতে রাতারাতি কোটিপতি বীরভূমের খয়রাশোলের বুধপুরের শেখ জমিউল ওরফে রূপচাঁদ।
স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে, মা ও বিশেষভাবে সক্ষম বোনকে নিয়ে সংসার জমিউলের। প্রতিদিন সকালবেলা ভ্যানগাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। সারাদিন বাড়ি বাড়ি টিন-লোহা-কাগজ কেনেন। সেটা নিয়ে গিয়ে নির্দিষ্ট দোকানে বিক্রি করেন। কোনওমতে সংসার চলে যাচ্ছিল বলে জানালেন জমিউল।
তবে ভবিষ্যত, সঞ্চয়, ছেলেমেয়ের পড়াশোনার খরচ নিয়ে জমিউল ও তাঁর স্ত্রী রাফিয়া বিবি অজানা দুশ্চিন্তায় ভুগতেন। যদি ভাগ্যের শিকে ছেঁড়ে, এই ভেবেই মাঝে মাঝে লটারি টিকিট কিনতেন জমিউল। কিন্তু সত্যিই যে কোনওদিন রাতারাতি বড়লোক হবেন, তা ভাবেননি তিনি।
সোমবার দিনের কাজের শেষে বাড়ি ফেরার সময়ে লোকপুর বাজারে পরিচিত দোকান থেকে টিকিটটি কেটেছিলেন জমিউল। সেদিন অনেক রাতেই লাকি ড্র-তে দেখা যায় তাঁর টিকিটটি প্রথম পুরস্কার ১ কোটি টাকা পেয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে নিয়মিত ক্রেতার বাড়ি ছোটেন লটারি বিক্রেতা।
আচমকা এমন খবরে প্রথমে হতচকিত হয়ে যান জমিউল। বেশ কিছুক্ষণ কোনও অনুভূতিই প্রকাশ করতে পারেননি। এদিকে আনন্দে বিহ্বল হয়ে যায় পরিবার।
মঙ্গলবার সকালেই একটি নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে এসেছেন জমিউল। নয় তো লটারির টাকা কোথায় আসবে!
এত টাকা কীভাবে খরচ করবেন? সে বিষয়ে এখনও কিছু ভাবেননি জমিউল। তবে তাঁর স্ত্রী জানিয়েছেন, 'ছেলেমেয়েগুলোকে মানুষ করতে পারব। উপরওয়ালা মুখ তুলে চেয়েছেন।'