বছর দুই আগে খুব স্ক্রাব টাইফাসের নাম শোনা গিয়েছিল। আবারও সেই প্রকোপ দেখা দিল উত্তরপ্রদেশে। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে স্ক্রাব টাইফাসের ফলে জ্বরের প্রায় ২৪টি কেস ধরা পড়েছে। প্রত্যেকেই প্রথমে 'অজানা' জ্বর নিয়ে চিকিত্সাব্যবস্থার শরণাপন্ন হয়েছিলেন।
মথুরার কোহ গ্রামে আক্রান্তদের নমুনা সংগ্রহ করে সরকারি বিশেষজ্ঞ দল। সেই নমুনা পরীক্ষা করেই মেলে স্ক্রাব টাইফাসের হদিশ।
বছর দুই আগে বহরমপুরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে বহু রোগীর নমুনায় এই রোগের হদিশ মেলে। ভয়ানক কষ্টদায়ক এই রোগের সময়ে চিকিত্সা না হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
স্ক্রাব টাইফাস কী?
‘ওরিয়েনসিয়া শুশুগামুসি’ (Orientia tsutsugamushi) নামের এক ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে স্ক্রাব টাইফাস রোগ হয়। এটি বুশ টাইপাস নামেও পরিচিত।
এই ব্যাকটেরিয়ার বাহক হল ম্বিকিউলিড মাইটস বা টিক। এর কামড় থেকেই মানবদেহে এই রোগের জীবাণু প্রবেশ করে।
স্ক্রাব টাইফাসের উপসর্গ
১. টানা ১০-১৫ দিন ধরে ধুম জ্বর, গা-হাত-পায়ে ব্যাথা।
২. মাথা যন্ত্রণা।
৩. সারা শরীরে ফুসকুড়ি।
৪. টিক-এর কামড়ের স্থানে পোড়া, কেটে যাওয়ার ঘা-এর মতো কালো ক্ষতচিহ্ন।
৫. কিছু ক্ষেত্রে রোগী জ্বরের ঘোরে প্রলাপও বকেন।
কীভাবে এড়াবেন স্ক্রাব টাইফাস?
১. বাইরে বের হলে অবশ্যই জুতো পরুন। বেশি ঝোপ-জঙ্গলে প্রবেশ করবেন না।
২. নিয়মিত বিছানা, বালিশ রোদে দিন, সাফ করুন।
৩. ঘরদোর পরিষ্কার রাখুন। ফিনাইল দিয়ে মুছুন।
৪. বাড়িতে পোষ্য থাকলে তার যেন টিক না থাকে তা নজর রাখুন। বিশেষত বাইরে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার পর বাড়ি এসে লোমের ভেতর ভালো করে পর্যবেক্ষণ করুন। টিক পেলেই সঙ্গে সঙ্গে পশু চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী শ্যাম্পু, মেডিকেটেড পাউডার, ওষুধ ব্যবহার করুন। টিক পোষ্যদের জন্যও কষ্টদায়ক।
৫. নিয়মিত শ্যাম্পু করে স্নান করুন।
৬. বেশিদিন জ্বর থাকলে ফেলে রাখবেন না। চিকিত্সকের পরামর্শ মতো রক্ত পরীক্ষা করান।