আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে জি এন্টারটেনমেন্ট, সংস্থার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুভাষ চন্দ্র এবং প্রাক্তন ম্যানেজিং ডিরেক্টর পুনীত গোয়েঙ্কার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে সেবির একটি কমিটি। সেই তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে 'বোঝাপড়া'র প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল সেবিকে। সাধারণ এই সব ক্ষেত্রে সেবি বোঝাপড়ার প্রস্তাব খতিয়ে দেখে তা গ্রহণ করে নিতে পারে। তবে এই ক্ষেত্রে জি-এর প্রস্তাব পত্রপাঠ খারিজ করে দেয় সেবি। এর বদলে তদন্তকারী অফিসারের থেকে এই তদন্ত সংক্রান্ত আরও তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে সেবি। সঙ্গে জি এন্টারটেনমেন্ট, পুনীত গোয়েঙ্কা এবং সুভাষ চন্দ্রকে নতুন নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দেয় সেবির কমিটি। (আরও পড়ুন: এবার ইপিএফও গ্রাহকরা পাবেন বড় সুবিধা, যে কোনও ব্যাঙ্ক থেকে তোলা যাবে পেনশনের টাকা)
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে মিলল সশস্ত্র গোষ্ঠীর ক্যাম্প, তবে একজনকেও ধরতে পারল না বাংলাদেশি সেনা
আরও পড়ুন: 'আল্লাহর আইন ছাড়া কিছু চলবে না', বাংলাদেশে সংবিধান বদলের জল্পনা বাড়াল জামাত
নয়া নির্দেশ অনুযায়ী, সেবি তাদের তদন্তের পরিধি আরও বৃদ্ধি করতে পারে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে লিস্টিং সংক্রান্ত বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এই মিডিয়া সংস্থা এবং এর দুই শীর্ষ কর্তাকে নোটিশ পাঠিয়েছিল সেবি। ২০২২ সালের জুলাই মাসে সেই নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে এই মামলায় সেবির কমিটির সাম্প্রতিক নির্দেশের ফলে জি এন্টারটেনমেন্ট এবং সুভাষ চন্দ্র ও পুনীত গোয়েঙ্কা আরও বিপাকে পড়তে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। (আরও পড়ুন: তুরস্ক থেকে ট্যাঙ্ক কিনছে বাংলাদেশ, সবটাই দেখছে ভারত, বিদেশ মন্ত্রক বলল...)
আরও পড়ুন: একদিনে ১৫ কিমি… বাঘিনী জিনাতের পিছু নিয়ে পুরুলিয়ার সীমানায় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার
এদিকে সম্প্রতি ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে জি এন্টারটেনমেন্ট এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের অডিটে ত্রুটির কারণে ডেলয়েটকে ২ কোটি টাকা জরিমানা করেছিল ন্যাশনাল ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং অথরিটি। এছাড়াও এই ঘটনায় আরও ২ জন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টকে জরিমানা করেছে এনএফআরএ। রিপোর্ট অনুযায়ী, সিএ এবি জানিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ন্যাশনাল ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং অথরিটি। এরই সঙ্গে আগামী পাঁচবছর এবি জানি কোনও সংস্থার অডিট করতে পারবেন না বলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়া সিএ রাকেশ শর্মাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা দিতে বলা হয়েছে। এরই সঙ্গে তাঁর প্র্যাক্টিসের ওপর ৩ বছরের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দু সাংবাদিকের মা এবং মুক্তিযোদ্ধা বাবাকে ধারাল অস্ত্রের কোপ)
আরও পড়ুন: অনুপ্রবেশে মদত দিচ্ছে BSF, অভিযোগ করেছিলেন মমতা, জবাবে বিদেশ মন্ত্রক বলল...
রিপোর্ট অনুযায়ী, ইয়েস ব্যাঙ্কে জি এন্টারটেনমেন্টের ২০০ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটে অনিয়ম ছিল। তবে সেই তথ্য রিপোর্ট করতে ব্যর্থ হয় ডেলয়েট। এই কারণেই তাদের ২ কোটি জরিমানা দিতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে জি চেয়ারম্যান ইয়েস ব্যাঙ্ককে চিঠি লিখেছিলেন। তিনি এসেল গ্রুপের প্রোমোটারও ছিলেন। এই আবহে ইয়েস ব্যাঙ্কে জি-এর ২০০ কোটি টাকার ফিক্স ডিপোজিটকে গ্যারান্টি রেখে এসেল গ্রুপের একটি কোম্পানির জন্যে ঋণ নেন জি-এর চেয়ারম্যান। পরে ২০১৯ সালে ইয়েস ব্যাঙ্ক সেই ফিক্সড ডিপোজিটের মাধ্যমেই এসেলের ঋণের টাকা মিটিয়ে নেয়। তবে তাতে জি-এর শেয়ার হোল্ডারদের অনুমতি ছিল না। এই আবহে ডেলয়েট এবং দুই অডিটকে শোকজ নোটিশ পাঠায় ন্যাশনাল ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং অথরিটি। তাদের থেকে পাওয়া জবাবের ভিত্তিতেই জরিমানা এবং নিষেধাজ্ঞার নির্দেশ শোনায় এনএফআরএ। ন্যাশনাল ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং অথরিটির বক্তব্য, ডেলয়েট এবং দুই অডিটরের কাজে গাফিলতি ছিল।