শীঘ্রই শুরু হবে করোনাভাইরাসের টিকাকরণ প্রক্রিয়া। তার আগে টিকা প্রদানের খুঁটিনাটি বিষয়গুলি আরও একবার ঝালিয়ে নেওয়ার জন্য আগামী ৮ জানুয়ারি দেশের সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ‘ড্রাই রান’ বা টিকাকরণের মহড়া হবে। শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশ এবং হরিয়ানায় শুক্রবার মহড়া হবে না।
বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিটি জেলায় তিনটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র চিহ্নিত করা হবে। অর্থাৎ সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র (জেলা হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজ), বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং গ্রামীণ বা শহরাঞ্চলের পরিষেবা কেন্দ্রকে বাছাই করতে হবে। দেশের ৭০০ জেলায় সেভাবেই মহড়া চালানো হবে। তবে মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) উত্তরপ্রদেশ মহড়া চালানো হওয়ায় সেখানে শুক্রবার আর ‘ড্রাই রান’ হবে না। একইসঙ্গে আগেভাগেই হরিয়ানায় আগামিকাল (বৃহস্পতিবার) মহড়া চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই সূচিতে পরিবর্তন হচ্ছে না।
‘ড্রাই রান’ নিয়ে নিজের মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দেশজুড়ে কোভিড-১৯ টিকাকরণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। মসৃণভাবে কোভিড-১৯ টিকাকরণের জন্য গত কয়েক মাস ধরে রাজ্য সরকার এবং সবপক্ষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সক্রিয়ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।’
গত রবিবার (৩ জানুয়ারি) জরুরি ভিত্তিতে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এসআইআই) এবং ভারত বায়োটেককে করোনা টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছেন ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) ভি জে সোমানি। তবে কবে থেকে দেশে টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হবে, সে বিষয়ে কেন্দ্রের তরফে স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছিলেন, জরুরি অনুমোদনের ১০ দিনের মধ্যে দেশে টিকাকরণ শুরু করতে প্রস্তুত আছে কেন্দ্র। বুধবারও নির্দিষ্ট কোনও দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়নি। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘অদূর ভবিষ্যতে টিকাকরণের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পরিকল্পনামাফিক দেশজুড়ে টিকাকরণ প্রক্রিয়ার সমস্ত বিষয় পরীক্ষা করার প্রয়োজনীয়তাকে পূর্ণ করবে এই উপায়।’