দেশের মাটিতে তৈরি 'প্রলয়' কার্যত ভারতের অস্ত্র সম্ভারে আরও এক গর্বের অধ্যায় যোগ করছে। দু'দিনে দ্বিতীয়বার সফল উৎক্ষেপণ হল এই ক্ষেপণাস্ত্রের। এদিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ডিআরডিওর তরফে এই উৎক্ষেপণের আয়োজন করা হয় ওড়িশার এপিজে আব্দুল কালাম আইল্যান্ড থেকে।
'প্রলয়' এর হাত ধরে দেশের অস্ত্রাগার আরও সমৃদ্ধ হল বলে মনে করছেন বহু বিশেষজ্ঞ। এই ক্ষেপণাস্ত্র ভূমি থেকে ভূমিতে উড়ান নেয়। ক্ষেপণাস্ত্রের রেঞ্জ ১৫০ থেকে ৫০০ কিলোমিটারের মধ্যে। তবে তা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে পে লোডের ওপর। মোবাইল লঞ্চার দিয়েও এই অস্ত্র নিক্ষেপ করা যাবে শত্রু শিবিরে। উৎক্ষেপণের দ্বিতীয় দিনে পে লোড প্রথম দিনের তুলনায় আরও ভারী করে নিক্ষেপ করা হয়। আর তাতেও কার্যত একশোয় একশো যোগ করেছে এই ক্ষেপণাস্ত্র। এদিনের উৎক্ষেপণে ব্যবহৃত হয়েছে রেঞ্জ সেন্সর, টেলিমেট্রি, ব়্যাডার, ইলেকট্রো অপটিক ট্র্যাকিং সিস্টেমের মতো প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তি দিয়ে নজরদারি চালানো হয়েছে উৎক্ষেপণের।
'প্রলয়' এর আগে 'অগ্নি পি' উৎক্ষেপণেও সফল হয়েছে দেশ। অগ্নি পি এর সর্বোচ্চ রেঞ্জ ২০০০ কিলোমিটার। এছাড়াও অগ্নি মিসাইলের সিরিজের বাকি একাধিক ক্ষেপণাস্ত্রের রেঞ্জ ৭০০ থেকে ৫০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত রয়েছে। অগ্নি একের রেঞ্জ ৭০০ কিলোমিটার। এরপর অগ্নি দুই থেকে পাঁচের রেঞ্জ যথাক্রমে দু হাজার, তিন হাজার, চার হাজার, পাঁচ হাজার। এদিকে, ভারতে যখন পর পর ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চলছে, তখন পাকিস্তানও রণ সম্ভার নিয়ে ব্যস্ত। তারা সদ্য পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে তাদের ক্রুজ মিসাইল 'বাবর' এর। তবে 'বাবর' এর তুলনায় ভারতের 'ব্রাহ্মোস' অনেকটাই পোক্ত ও শক্তিশালী বলে মনে করেন অনেকে।