ব্রিটেনের বাসস্টপে মিলল একগুচ্ছ অত্যন্ত গোপনীয় নথি। ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে (বিবিসি) দেওয়া এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির খবরের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকালের দিকে দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনের কেন্ট থেকে সেই নথি উদ্ধার করা হয়েছে। একাধিক সংবাদসংস্থার তরফে সেই খবর জানানো হয়েছে।
সংবাদসংস্থার খবর অনুযায়ী, ৫০ পৃষ্ঠার সেই নথিতে ব্রিটিশ সেনা এবং বৈদেশিক নীতি সংক্রান্ত অত্যন্ত গোপনীয় তথ্য ছিল। ন্যাটোর অভিযানের শেষে আফগানিস্তানে সেনার সম্ভাব্য উপস্থিতি-সহ ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নথিও ছিল বলে কয়েকটি সংবাদসংস্থায় জানানো হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সেই নথিতে ব্রিটিশ রণতরী ডিফেন্ডার নিয়ে ইমেল ও পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশন ছিল। যা চলতি মাসেই ক্রিমিয়া উপদ্বীপ থেকে যাত্রা শুরু করেছে। যে এলাকা ২০১৪ সালে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল। গত বুধবার রাশিয়ার তরফে জানানো হয়েছিল, নিজেদের জলসীমা (ক্রেমলিনের দাবি, ব্রিটেন-সহ সেই অঞ্চলকে ইউক্রেনের বলে স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ) থেকে ব্রিটিশ রণতরীকে বের করে দেওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে। যাত্রাপথে সতর্কমূলক বোমাও ফেলা হয়েছে।
ব্রিটিশ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, কীভাবে সেই নথিগুলি বাসস্টপে গেল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সেইসঙ্গে একটি অভ্যন্তরীণ তদন্তও শুরু করা হয়েছে। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, গত সপ্তাহে মন্ত্রককে জানানো হয়েছিল যে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত অত্যন্ত সংবেদনশীল নথি উদ্ধার করেছেন এক সাধারণ মানুষ। মন্ত্রকের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘তথ্যের সুরক্ষার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে মন্ত্রক। তদন্ত শুরু করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মী (নথি) হারানোর বিষয়ে জানিয়েছিলেন। আপাতত এর থেকে বেশি কিছু জানানো সঠিক হবে না।’
যদিও ব্রিটেনের সেই সাফাই নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি রাশিয়া। সংবাদসংস্থা রয়টার্সে জানানো হয়েছে যে রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মারিযা জাখারোভা টেলিগ্রামে বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক প্ররোচনায় ধামাচাপা দিতে একাধিক মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে লন্ডন। ০০৭ (জেমস বন্ড) আর এক নেই। এখন ব্রিটিশ সংসদের উদ্দেশে ধাঁধা-সুলভ প্রশ্ন, কেন আমাদের রাশিয়ান হ্যাকার লাগবে, যখন ব্রিটিন বাসস্টপ আছে?’