চিনকে ঠেকানোর জন্য ভারতের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সচেষ্ট ছিল আমেরিকা। ২০১৮ সালে ইন্দো-প্যাসিফিকের জন্য় যে নীতি তৈরী করেছিল আমেরিকা, সেটির গুরুত্বপূর্ণ ছিল এটি। এতদিন গোপন থাকলেও এবার সেই নীতি প্রকাশ্যে নিয়ে এল বিদায়ী মার্কিন প্রশাসন।
ভারত-চিন সীমান্তে অচলাবস্থার দুই বছর আগে এই কৌশল রূপায়ণ করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে বলা হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান শক্তি ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে ভারতীয় মহাসাগরে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করার জন্য। একই সঙ্গে পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে ভারতকে যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে হবে ও আমেরিকা ও তার সঙ্গীদের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা উচিত বলে মনে করে ট্রাম্প প্রশাসন।
এই নথিটি একদা গোপনীয় ছিল, যাতে লেখা আছে এটি বিদেশি নাগরিকদরে জন্য নয়। সেখানে লেখা আছে যে চিন আমেরিকার প্রধান বিরোধী ও তারা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আইন ভাঙতে পারে নিজেদের স্বার্থে। নিজেদের প্রযুক্তিগত শক্তির সাহায্য নিয়ে চিন বিভিন্ন স্বাধীন সমাজে হস্তক্ষেপ করতে পারে বলেও মনে করে আমেরিকা।
সাধারণত, এরকম নথি তিন দশক অবধি গোপন থাকে কিন্তু সামান্য কিছু অংশকে বাদ দিয়ে পুরো কৌশলটিই জনসমক্ষে নিয়ে এলেন আমেরিকার বিদায়ী জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা রবার্ট ব্রায়েন। বিশেষজ্ঞদের মতামত, আমেরিকার দৃষ্টিভঙ্গি ইন্দো-প্যাসিফিকে যে একই থাকবে, প্রশাসন বদল হওয়ার সঙ্গে বদলে যাবে না, সেটা বোঝানোর জন্যই তিনি এই নথিটি প্রকাশ্যে আনলেন।
১০ পাতার এই নথির মোদ্দা কথা হল, আমেরিকা মনে করে যে ভারত ও সম- মনোভাবাপন্ন দেশগুলি কিছুটা হলেও চিনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। সামরিক, কূটনৈতিক ও গোয়েন্দা তথ্য শেয়ারের ক্ষেত্রে ভারতকে যথাসাধ্য সাহায্য করার কথা নথিতে লেখা আছে। যাতে অন্যতম সামরিক পার্টনার হয়ে ওঠে ভারত। চিনের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা থেকে ব্রহ্মপুত্রের জল পাওয়া নিয়ে সমস্যায় আমেরিকা ভারতকে সাহায্য করতে চায় বলে লেখা আছে নথিতে।
হবু রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনও যে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ওপর খুব গুরুত্ব দিতে চাইছেন তা ইতিমধ্যেই সাফ। তিনি জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মধ্যে বিশেষ একটি পদে নিয়োগ করতে চাইছেন দুঁদে বিশেষজ্ঞ কার্ট ক্যাম্বেলকে যিনি ইন্দো-প্যাসিফিকে চিন যে সব সমস্যা তৈরি করছে, তার ওপর নজর রাখবে। ইন্দো-প্যাসিফিক কোঅর্ডিনেটরের কাজ করবেন তিনি।