ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে ফোন করলেন মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিনকেন। আফগানিস্তানের পরিস্থিতি ক্রমেই আর সংকটাপন্ন হয়ে যাচ্ছে। তালিবান কাবুলের দখল নিতেই অরাজকতা ছড়িয়েছে ৬০ লক্ষের শহরে। কাবুল ছআড়তে মরিয়া কাবুলবাসীর হৃদয়বিদারক ছবি সোমাবর দিনভর দেখেছে বিশ্ববাসী। এরই মাঝে এই গোটা পরিস্থিতির জন্যে পূর্বসূরী ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং প্রাক্তন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এদিকে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে তালিবানি শাসনের পক্ষএ কথা বলতে শোনা গিয়েছে। একদা বন্ধু পাকিস্তানকে হারিয়ে তাই এবার ভারতের দিকে তাকিয়ে আমেরিকা।
এই আবহে জয়শঙ্করকে ব্লিনকেনের ফোন বেশ তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। আফগানিস্তানে তালিবান এবং আল-কায়দার বিরুদ্ধে লড়াইতে একসময় পাকিস্তানকে পাশে পেয়েছিল আমেরিকা। তবে সেই পাকিস্তানেই আশ্রয় নিয়েছিল ওসামা বিন লাদেন। আর সম্প্রতি ইমরান খানকে চিনের বন্ধু হিসেবে দেখা হচ্ছে। মার্কিন-পাকিস্তানি সম্পর্কে পড়েছে ছেদ। এই আবহে দক্ষিণ এশিয়ায় নিজেদের প্রভাব বজায় রাখতে ভারতকে পাশে মেতে চাইছে। ওয়াশিংটনের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে জয়শঙ্করের সঙ্গে কথা বলেন ব্লিনকেন। তবে ঠিক কি আলোচনা হয়েছে, তা বলা হয়নি। উল্লেখ্য, এর আগে মার্কিন বিদেশমন্ত্রী কুরেশির সঙ্গেও ফোনে কথা হয় ব্লিনকেনের। এরপর জয়শঙ্করকে ফোন করেন ব্লিনকেন।
গতকাল এক সরকারি বিবৃতিতে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দ বাগচি বলেন, 'ভারত সরকার আফগানিস্তানের পরিস্থিতির উপর ধারাবাহিক ভাবে নজর রেখে চলেছে। আমরা আফগানিস্তানে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সুনিশ্চিত করতে সকল রকম পদক্ষেপ নেব, সেই অনুযায়ী বিভিন্ন নির্দেশিকা জারি করে চলেছি। দ্রুত তাঁদের ভারতে ফেরানো নিয়ে কথা চলছে।' বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় উদ্ধার কাজ যে ব্যাহত হচ্ছে তা মেনে নেওয়া হয়েছে। এদিকে সেদেশ থেকে সংখ্যালঘু হিন্দু-শিখদের ভারতে শরণ দেওয়া হবে বলে জানানো হয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে। অরিন্দম বাগচি বলেন, 'অনেক আফগান নাগরিক রয়েছেন, যাঁদের সঙ্গে আমাদের উন্নয়নমূলক, শিক্ষাগত সম্পর্ক রয়েছে। তাঁদের পাশে আমরা দাঁড়াব। সরকার বিমান পরিষেবা শুরু হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।'