সুপ্রিম কোর্টে কিছুটা ‘ধাক্কা’ খেল কেন্দ্র। রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের পর্যালোচনার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪এ ধারায় কোনও মামলা রুজু করা যাবে না বলে জানাল শীর্ষ আদালত। সেইসঙ্গে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, যাঁরা ইতিমধ্যে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে জেলবন্দি আছেন, তাঁরা আদালতে মুক্তির আবেদন করতে পারবেন।
বুধবার অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ জারি করে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামান্না বলেছেন, যতদিন ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪এ ধারার (রাষ্ট্রদ্রোহের ক্ষেত্রে জামিন-অযোগ্য ধারা, সেই ধারায় তিন বছর থেকে যাবজ্জীবন সাজার বিধান আছে) পুনর্বিবেচনার প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে, ততদিন ‘এই ধারাটি স্থগিত রাখা ঠিক হবে।’
যদিও বুধবার সকালে কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সওয়াল করেছিলেন, ১৯৬২ সালের কেদারনাথ মামলায় যেহেতু সুপ্রিম কোর্ট ১২৪এ ধারার বৈধতা বজায় রেখেছিল, তাই আপাতত সেই ধারাকে স্থগিত করা উচিত নয়। সেটা সম্ভবত সঠিক পথ নয় বলেও সওয়াল করেছিলেন। বিকল্প হিসেবে মেহতা প্রস্তাব দিয়েছিলেন, রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে নির্দেশিকা জারি জানানো হবে যে পুলিশ সুপার পদমর্যাদার বা তাঁর থেকে উচ্চপদের কোনও পুলিশ অফিসার ছাড়া নয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা রুজু করা যাবে না। যে নির্দেশিকা নিয়ে পরে আদালতে আলোচনা করা হবে।
আরও পড়ুন: Sedition Law: রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের সব মামলা স্থগিত থাকবে আপাতত? SC-র কঠিন প্রশ্নের মুখে কেন্দ্র
যদিও প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যদের বেঞ্চ বলেছে, এটা স্পষ্ট যে ১২৪এ ধারা সময়োপযোগী নয়। ঔপনিবেশিক শাসনের লক্ষ্যে সেই ধারা চালু করা হয়েছিল। 'আমাদের আশা, যখন বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে, ততক্ষণ ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪এ ধারায় কোনও এফআইআর দায়ের করা, তদন্ত চালু রাখা বা বিরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকবে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার।'
সেইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, যাঁরা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জেলবন্দি আছেন বা মামলা চলছে, তাঁরা নিজেদের বক্তব্য নিয়ে ট্রায়াল কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন। যা দ্রুত সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।