রাখী পূর্ণিমার দিন একেবারে অন্য অবতারে ধরা দিলেন সীমা। পরনে টুকটুকে লাল শাড়ি। একেবারে অন্য মুডে পাকিস্তান থেকে ভারতে আসা বধূ সীমা হায়দার। তিনি ভারতের রাখী বন্ধন নিয়ে অত্যন্ত উৎসাহিত। তিনি তাঁর আইনজীবী এপি সিংয়ের হাতে রাখি বেঁধে দিয়েছেন। আর তারপরেই কার্যত বড় দাদার মতো এপি সিং বলেন , আজ থেকে সীমার সব সুখ দুঃখের সঙ্গী থাকব আমি। আমার সমস্ত খুশি আজ থেকে তাকে দিলাম। আজ থেকে আমার ইচ্ছা বোনের বাড়ি যেন আনন্দে ভেসে যায়। ছেলে মেয়েরা যেন খুব খুশিতে থাকে। এদিকে এর আগে তিনি অবশ্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্য়মন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে রাখী পাঠিয়েছিলেন।
আইনজীবী জানিয়েছেন, মা আমাকে বললেন, দেখো তোমার বোন কাছেই আছে। যাও তার কাছে গিয়ে রাখী পরে এস। এরপর আমি সীমার বাড়িতে গিয়ে রাখী পরে আসি। সমস্ত শরীর মন, অর্থ দিয়ে আমি সীমার পাশে থাকব। যদি এই দেশের কোনও ঐতিহ্য, প্রথার ক্ষেত্রে সীমা কোনও সমস্যায় পড়ে তবে আমি তার পাশে থাকব।
রাখীর দিন সীমার নিজের কেমন অনুভূতি?
সীমা জানিয়েছেন, এই প্রথম রাখী বাঁধলাম। আমি আইনজীবী এপি সিংকে রাখী পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি নিজেই চলে এসেছেন বাড়িতে। আমি খুব খুশি।
এভাবেই কার্যত ভারতের একাধিক উৎসব, একাধিক প্রথাকে নিজের বলে গ্রহণ করছেন সীমা। তিনি প্রেমের টানে ভারতে এসেছেন। এখানকার যুবক সচিন মীনাকে বিয়েও করেছেন তিনি। এরপর থেকে তিনি ভারতেই রয়েছেন। তবে আগেই তিনি ভারতে বর পেয়েছিলেন। এবার তিনি দাদাও পেলেন ভারতে।
তাঁর দাবি, পাবজি খেলতে গিয়ে সচিনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়েছিল। এরপর তিনি ভারতে চলে আসেন। সেখানে সচিনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। চার সন্তানকে নিয়ে তিনি পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে এসেছেন। তবে তিনি জানিয়েছেন আর পাকিস্তানে ফিরতে চান না তিনি।