স্বামী স্বরূপানন্দ সরস্বতীর অন্যতম শিষ্য অভিমুক্তেশ্বরানন্দ শনিবার ধরনায় বসেন বারাণসীর বুকে। তাঁর দাবি তিনি জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতর পূজার্চনা করবেন। আর তা করতে না দেওয়ায় তিনি বসেন আমরণ ধরনায়। উল্লেখ্য, সদ্য জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতর একটি জায়গা থেকে শিবলিঙ্গ উদ্ধার হয়েছে বলে একাংশের দাবি, গোটা বিষয়টি যদিও বিচারাধীন। এই বিতর্ক ঘিরে অন্যপক্ষের দাবি, সেটি মসজিদের ভিতরের ঝরনার অংশ মাত্র।
এদিকে, এই বিতর্কের মাঝে স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ বসেন আমরণ অনশনে। তার আগে তাঁকে মসজিদের ভিতর প্রবেশের আগেই রুখে দেওয়া হয় । বারাণসীর কাশীতে কেদার ঘাটে তাঁকে রুখে দেওয়া হয়। আর সেখানেই তিনি বসে যান ধরনায়। তিনি বলেন, ‘আমি প্রবেশের অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন করব।’ বারাণসী পুলিশ সূত্রের দাবি, এর আগে ওই সন্ন্যাসী পুলিশের কাছে লিখিত আবেদনে জানান, তিনি জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতর প্রবেশ করে শিবের আরাধনা করতে চান। সেই অনুমতি তাঁকে দেয়নি পুলিশ প্রশাসন। উল্লেখ্য, পুলিশ জানিয়েছে, যে এলাকা আদালতের নির্দেশে রয়েছে সিল করা, সেখানে সিআরপিএফ দিয়ে রাখা হয়েছে নিরাপত্তা, সেখানে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। কাশীর ডিসিপি রামসেবক গৌতম জানিয়েছেন, ‘ এরপরও তিনি যদি সেখানে প্রবেশ করতে যান, তাহলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 'রাস্তা খালি করুন, নয়তো...' কানপুরের হিংসায় রুদ্ধশ্বাস মুহূর্তে কী ঘটেছিল?
স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ বলেন, ‘ধর্মের বিষয়ে ধর্মাচার্যের কথাই শেষ কথা। সনাতন ধর্মে শঙ্করাচার্যকেই সবচেয়ে বড় আচার্য মানা হয়। আর স্বরূপানন্দজি তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বড়। ফলে তাঁর মতই মেনে নিতে হবে। ’ উল্লেখ্য়, বারাণসীতে শ্রিঙ্গার গৌরী-জ্ঞানবাপী মসজিদ বিতর্কে শিবলিঙ্গের দাবি ইস্যুতে নকুন করে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। তার মাঝেই স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দের এমন পদক্ষেপ ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।