চিন সীমান্তের কাছেই সেলা সুরঙ্গ প্রকল্প রূপায়ণে একেবারে শেষ ধাপে পৌঁছে গেল দেশ। তাওয়াং সেক্টরে সেনা মোতায়েন করা, অস্ত্র মজুত করার, রসদ পৌঁছনর ক্ষেত্রে যথেষ্ট কার্যকরী হবে এই সেলা টানেল। অরুণাচল প্রদেশের চিন সীমান্ত লাগোয়া এই টানেলে ফাইনাল ব্লাস্ট করা হয়েছে শনিবার। আর টানেল সংলগ্ন এলাকায় খোঁড়াখুঁড়ির কাজও প্রায় শেষ। ৯৮০ মিটারের এই সেলা টানেলের ফাইনাল ব্লাস্টে ভার্চুয়াল মাধ্যমে উপস্থিত ছিলেন বর্ডার রোডসের ডিরেক্টর জেনারেল লেফটেনান্ট জেনারেল রাজীব চৌধুরী। মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, প্রতিকূল আবহাওয়া ও প্রচন্ড তুষারপাতের মধ্যেই এদিন কাজ হয়েছে। একবার এটি রূপায়িত হলে তাওয়াংয়ের সঙ্গে সমস্ত ঋতূতে যোগাযোগ আরও নিবিড় হবে।
দুটি গিরিখাতের মধ্যে দিয়ে আসছে এই টানেল। টানেল ১ ও টানের ২। এই প্রকল্পের মধ্যে দুটি রাস্তা তৈরির বিষয়টিও রয়েছে। একটা সাত কিলোমিটারের রাস্তা। অপরটি ১.৩ কিলোমিটারের রাস্তা। টানেল ২ তে একটা বাইলেন টিউবও থাকবে। একটি দিয়ে গাড়ি চলাচল করা যাবে। অপরটি আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা যাবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৯ সালে এই প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। ২০২২ সালের জুন মাসে এটি শেষ করার টার্গেট নেওয়া হয়েছে।
এদিকে ২০১৮ সালে ৭০০ কোটি টাকার এই প্রজেক্টের কথা ঘোষণা করা হয়। ১৩ হাজার ফুট উচ্চতার এটিই হবে বিশ্বের দীর্ঘতম টুইন টানেল। তাওয়াংয়ের যাত্রাপথও প্রায় ১ ঘন্টা কমে যাবে। ৫০জন ইঞ্জিনিয়ার, ৫০০ শ্রমিক এই টানেল তৈরিতে যুক্ত।অস্ট্রিয়ান প্রযুক্তিতে তৈরি হচ্ছে এই টানেল। রোজ অন্তত ৪ হাজার আর্মি ও সিভিলিয়ান গাড়ি এটি ব্যবহার করবে বলে আশা করা হচ্ছে।