বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ৩২ জনকে। ইতিমধ্যে পাঁচজনের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধাও পড়েছিলেন। কিন্তু ষষ্ঠ বিয়ে করতে গিয়েই পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন এক স্বঘোষিত বাবা। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের কানপুরের।
পুলিশ জানিয়েছে, ২০০৫ সালে প্রথম বিয়ে করেন অনুজ কাঠেরিয়া নামে স্বঘোষিত বাবা। বছর কয়েক পরেই বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন। তবে এখনও বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি। তারইমধ্যে ২০১০ সালে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। ২০১৪ সালে আরও একবার বিয়ে অনুজ। শীঘ্রই চতুর্থবার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন। সেবার পাত্রী ছিলেন তৃতীয় স্ত্রী'র মাসতুতো বোন। কেউই অনুজের কীর্তির বিষয়ে ঘুণাক্ষরে কিছু জানতে পারেননি। কিন্তু চতুর্থ স্ত্রী অনুজের আগের তিনটি বিয়ের কথা জানতে পেরে আত্মহত্যা করেছিলেন। তারপর আবারও বিয়ে করেছিলেন অনুজ। পঞ্চম স্ত্রী অনুজের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তাতেও নিজের ‘প্রতিশ্রুতিতে’ অবিচল ছিলেন অনুজ। শুক্রবার একেবারে বরবেশে ষষ্ঠ বিয়ে করতে রওনা দেন। তা জানতে পেরে যান পঞ্চম স্ত্রী। তিনি পুলিশে খবর দেন। তারপর অনুজকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
প্রাথমিক জেরার পর অনুজ জানিয়েছেন, বিভিন্ন বিয়ের সাইটে নাম নথিভুক্ত করেছিলেন তিনি। ব্যবহার করতেন ভুয়ো নাম। বিভিন্ন জনকে বিভিন্ন রকম পেশায় যুক্ত আছেন বলে জানাতেন। কাউকে বলতেন, পেশায় শিক্ষক তিনি। কাউকে আবার বলতেন, তন্ত্রসাধনা করেন। সেভাবেই মেয়েদের মিথ্যার জালে ফাঁসাতেন। সবমিলিয়ে ৩২ জনকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অনুজ। পুলিশ জানিয়েছে, অনুজকে জেরা করে আরও তথ্য বের করা চেষ্টা করা হচ্ছে। তার আর কী কী কীর্তি আছে, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।