চার বছর আগে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীতে গ্যাংস্টার দুর্লভ কাশ্যপ মারা গিয়েছেন, তারপরও তাঁর নাম নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে শহর ও এর আশপাশের এলাকায়। দুর্লভ কাশ্যপের লোকজন এবার ফেসবুকের মাধ্যমে অনলাইনে দেশি পিস্তল বিক্রি করছে। বিক্রির জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পেজও তৈরি করা হয়েছে এরইমধ্যে। এই ফেসবুক পেজে অস্ত্র প্রদর্শনের ভিডিয়ো শেয়ার করা হয়েছে। সেখানে লেখা 'কোহিনূর গ্রুপ উজ্জাইন, দেশি কট্টা, পিস্তল অনলাইন হোম ডেলিভারি'। এছাড়া মোবাইল নম্বরও দেওয়া রয়েছে।
মূলত দুইটি ভিডিয়ো আপলোড করা হয়েছিল। ওই অস্ত্র প্রদর্শনের প্রথম ভিডিয়োতে বিক্রেতা যুবকের মুখ দেখা যায় নি। তবে তার হাতে ও কোমরে কয়েক ডজন বন্দুকের গুলি ও বিভিন্ন ধরনের পিস্তল দেখা গিয়েছে। ব্যাকগ্রাউন্ডে গানও বাজছে। দ্বিতীয় ভিডিয়োতে টেবিলে রাখা ৫টি পিস্তল দেখা গিয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে আগে সেইভাবে গুরুত্ব না দিলেও এবার তৎপর হয়েছি পুলিশ। জানা গিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে দেশের তৈরি পিস্তল বিক্রির করার জন্য এবং হোম ডেলিভারির প্রতিশ্রুতি দেওয়ার জন্য পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে।
এসপি জয়ন্ত রাঠোর জানিয়েছেন, পোস্টটি উজ্জয়িনীর বাইরে কোনও জায়গা থেকে আপলোড করা হয়েছিল। সাইবার সেল পুলিশ অপরাধীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। যেহেতু লোকটির মুখ স্পষ্ট নয়, তাই আরও সময় লাগতে পারে। তিনি আরও বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি যোগাযোগ ও অর্ডার দেওয়ার জন্য একটি মোবাইল ফোন নম্বরও দিয়েছিল। যত শীঘ্র সম্ভব তাঁকে গ্রেফতার করা হবে। আর সোশ্যাল পোস্টটি ২০২৩ সালের ২৩ এপ্রিল আপলোড করা হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এর আগেও উজ্জয়িনীতে পুলিশ দুর্লভ কাশ্যপ গ্যাংয়ের অনেক সদস্যদের আটক করেছিল। সদস্য নিয়োগের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার এবং বন্দুক সহ বিভিন্ন ধারালো অস্ত্রের ছবি শেয়ার করে সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযোগে ওই গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছিল পুলিশ। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে সংঘর্ষে কাশ্যপ মারা যান। তারপর থেকে মধ্যপ্রদেশ ও তার আশেপাশে অনেকেই কাশ্যপের নাম নিয়ে সন্ত্রাস চালানোর চেষ্টা করেছেন। এবার আদৌ দুর্লভ কাশ্যপ মারা গিয়েছেন, নাকি সে সত্যিই বেঁচে আছেন, তা জানার জন্য এরইমধ্যে একটি ফেসবুক পেজে তদন্ত শুরু করছে পুলিশ।