নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) ক্রুজ ড্রাগ বাজেয়াপ্ত মামলা নিয়ে কেন্দ্রের উপর আক্রমণ অব্যাহত রাখেল শিবসেনা। মঙ্গলবার এই বিষয়ে কেন্দ্রের নিন্দা করে শিবসেনার তরফে বলা হয়ছে যে ভারতীয় জনতা পার্টি কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার মালিকের মতো কাজ করে। শিবসেনার মুখপত্র সামনায় এদিন লেখা হয়, 'এটি ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে গণতন্ত্রে মালিকানা বদলায়।' পাশাপাশি ২৫ কোটি টাকার তোলাবাজির অভিযোগটিকে হিমশৈলের চূড়া বলে আখ্যা দেয়।
মঙ্গলবার সেনা মুখপত্রে লেখা হয়, 'বিজেপি কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার মালিকের মতো কাজ করে। এটা ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে গণতন্ত্রে মালিকানার পরিবর্তন হয়। ইতিহাসে এর উদাহরণ রয়েছে। বিজেপির ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে এটি অন্য রাজনৈতিক দলের মতোই। এটাও মনে রাখা উচিত। যে রাজনীতিতে ক্ষমতা আসে এবং যায়।'
আরিয়ান খানকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ২৫ কোটি টাকা তোবাজির অভিযোগের প্রসঙ্গ তুলে সেনার মুখপত্র সামনার সম্পাদকীয়তে প্রশ্ন করা হয়, 'গুজরাতের মুন্দ্রা বন্দরে ৩৫০০ কেজি হেরোইন জব্দ করার জন্য কতটা ঘুষ দেওয়া হয়েছিল? গুজরাতের আদানি গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রিত মুন্দ্রা বন্দরে পাওয়া ৩,৫০০ কেজি হেরোইনের মামলার নিষ্পত্তি করার জন্য কত টাকা ঘুষ চাওয়া হয়েছিল? এটি এমন একটি প্রশ্ন যা মানুষের মনে দাগ কেটেছে। কেউই জানত না যে কখন (হেরোইন আটক) কেস বন্ধ হল। কিন্তু আরিয়ান খান মামলা এখনও চলছে।'
শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত সোমবার স্বতন্ত্র সাক্ষী প্রভাকর সেলের করা তোলাবাজির দাবি নিয়ে এনসিবি আধিকারিকদের তোপ দাগেন এবং অভিযোগ করেন যে এনসিবি তোলাবাজি এবং অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িত। এদিকে নীতি হিসাবে, বিজেপির মহারাষ্ট্র ইউনিট সামনা সম্পাদকীয় বা কলামে করা সমালোচনা বা মন্তব্যের বিষয়ে মন্তব্য করে না।