সাত দিনের মধ্যে পঞ্চাশ শতাংশ লোক ছাঁটুন। ভারতে হাই কমিশনে লোকের সংখ্যা অর্ধেক করতে পাকিস্তানকে নির্দেশ দিল নয়াদিল্লি। সন্ত্রাসবাদ ও সীমান্ত দিয়ে হিংসায় পাকিস্তানের আধিকারিকরা জড়িত বলেই অভিযোগ করা হয়েছে ভারতের তরফ থেকে।
এই মুহূর্তে হাই কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সৈয়দ হায়দার শাহকে বিদেশমন্ত্রকে ডেকে এই কথা জানানো হয়। একই ভাবে ভারতও ইসলামাবাদে নিজেদের উপস্থিতি কম করবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের হাইকমিশনের দুই জুনিয়র কর্মকর্তাকে ৩১ মে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে বহিষ্কার করার কয়েক সপ্তাহ পরে এই পদক্ষেপ নেওয়া হল। অন্যদিকে, পাকিস্তানের তরফে ভারতীয় মিশনের দুই কর্মী সদস্যকে আটক করা হয়েছিল সড়ক দুর্ঘটনা ও জাল মুদ্রা রাখার অভিযোগে।
পারস্পরিক ব্যবস্থা অনুসারে, ভারত ও পাকিস্তান হাইকমিশনে বর্তমানে ১১০ জন করে থাকতে পারে। তবে উভয় মিশন পুরোপুরি কার্যকর নয়, ফলে ৪০ জন করে নিজেদের দেশে ফিরবে ভারতের নয়া সিদ্ধান্তের পর।
গত অগস্টে ভারত জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ স্ট্যাটাস লুপ্ত করার পর ভারতীয় হাইকমিশনারকে বহিষ্কার করে পাকিস্তান। ভারতেও কোনও নয়া দূত পাঠায়নি তারা। তখন থেকেই এই দুই পদ খালি আছে।
২০০১-এ পার্লামেন্ট হানার পর এরকম ভাবে হাইকমিশনে লোক কমিয়েছিল দুই পক্ষ। এদিন বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে যে দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারকে জানানো হয়ে যে বহুদিন ধরেই অনেকে চরবৃত্তি ও সন্ত্রাসবাদী কাজে যুক্ত আছেন। অন্যদিকে ভারতীয় মিশনেক লোকদেরকে নানা ভাবে উত্ত্যক্ত করা হচ্ছে ইসলামাবাদে। হালে যেভাবে দুইজনকে অপহরণ করা হয়েছিল, তাতেই বোঝা যাচ্ছে পাকিস্তান কোন দিকে যাচ্ছে, বলেছে বিদেশমন্ত্রক।
যেই দুই ভারতীয় কর্মীকে অপহরণ করা হয়েছিল, তারা ভারতে এসে জানিয়েছে কীভাবে তাদের সঙ্গে বর্বরোচিত আচরণ করা হয়েছিল। পাকিস্তান ও সেই দেশের অধিকর্তাদের ব্যবহার ভিয়েনা কনভেশন ও দুই দেশের মধ্যে যে সব দ্বিপাক্ষিক চুক্তি আছে, তার সঙ্গে খাপ খায় না বলেই জানিয়েছে ভারত। বরং সেটি সন্ত্রাসবাদ ও ওপার থেকে আসা হিংসাকে সাহায্য করে, সাফ জানিয়েছে নয়াদিল্লি।