প্রবীণ নাগরিকদের ট্রেনের টিকিটে ছাড় দেওয়া নিয়ে দায়ের হওয়া মামলা খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কৌল এবং বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানুল্লাহের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, বিষয়টির সঙ্গে রাজকোষ সংক্রান্ত ও আর্থিক বিষয় জড়িয়ে আছে। তাই সংবিধানের ৩২ ধারার আওতায় মামলাকারী যে আর্জি জানিয়েছেন, সেই আর্জি মেনে নেওয়া সঠিক হবে না। শীর্ষ আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, 'প্রবীণ নাগরিকদের প্রয়োজনীয়তা এবং আর্থিক প্রভাব বিচার করে সেই নীতিগত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।'
এমনিতে ট্রেনের টিকিট কাটার ক্ষেত্রে প্রবীণ নাগরিকদের বাড়তি ছাড় দেওয়া হত। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারীর সময় সেই ছাড় তুলে নেওয়া হয়। যা এখনও ফেরানো হয়নি। অদূর ভবিষ্যতে তা ফেরানোর ইঙ্গিতও দেয়নি কেন্দ্র। তবে মাসখানেক সেই ছাড় ফিরিয়ে আনার পক্ষে সওয়াল করেছিল সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
সেই প্রেক্ষিতে মামলাকারী দাবি করেন, জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র হিসেবে প্রবীণ নাগরিকদের ট্রেনের টিকিটে ছাড়ের বিষয়টি ফিরিয়ে আনা উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের। ওই মামলাকারী বলেন, ‘আমাদের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ হলেন প্রবীণ নাগরিক। কোভিড-১৯ মহামারী শুরুর পর (ট্রেনের টিকিটে প্রবীণদের ছাড়) তুলে দেওয়া হয়েছিল। বিশ্বজুড়ে প্রবীণ নাগরিকদের বিভিন্ন ছাড় এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয়।’
সেই সওয়ালের প্রেক্ষিতে মৌখিকভাবে শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে বলা হয়, ‘আমি আপনার সঙ্গে একমত। কিন্তু কী করা যেতে পারে? এটা রাষ্ট্রের নীতি সংক্রান্ত বিষয়। আমাদের হয়ত মনে হতে পারে যে ছাড় দেওয়া উচিত। বাধ্যতামূলকভাবে ছাড় প্রদানের নির্দেশ কি দিতে পারি আমরা? এটা হল ..... বিষয়।’
মামলাকারী অবশ্য দাবি করেন, সংবিধানের ২১ নম্বর ধারার আওতায় প্রবীণ নাগরিকদের বিভিন্ন অধিকার প্রদান করা হয়েছে। তাতে লাগাতার নজর রাখা উচিত। সেইসঙ্গে তিনি জানান, প্রবীণ নাগরিকদের ট্রেনের টিকিটে ছাড় দেওয়ার বিষয়টি কেন চালু করা হচ্ছে না, তা নিয়ে গত ১২ জানুয়ারি রেল মন্ত্রকের উত্তর পেয়েছিলেন তিনি। তারপরই ওই মামলা খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কৌল এবং বিচারপতি আমানুল্লাহের ডিভিশন বেঞ্চ।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)