আপনার বয়স কি ৭৫ বা তার বেশি? তাহলে ফিক্সড ডিপোজিট থেকে যে সুদ পান, তাতে ১০ শতাংশ ট্যাক্স ডিডাকটেড অ্যাট সোর্স (টিডিএস) প্রদান নাও করতে হতে পারে। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
নয়া নিয়ম অনুযায়ী, ৭৫ বছর বা তার ঊর্ধ্বে নাগরিকরা শুধুমাত্র পেনশন এবং ফিক্সড ডিপোজিট থেকে আয় করেন, তাঁদের আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হবে না। তার ফলে ফিক্সড ডিপোজিটে কেটে নেওয়া টিডিএসের রিফান্ড পাওয়ার ঝঞ্জাট থেকে মুক্ত হবেন তাঁরা।
এমনিতে বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, ৬০ বছর বা তার ঊর্ধ্বে নাগরিকরা যদি ফিক্সড ডিপোজিট থেকে বছরে ৫০,০০০ টাকার বেশি সুদ পান, তাহলে ১০ শতাংশ টিডিএস কেটে নেয় ব্যাঙ্ক। যে প্রবীণ নাগরিকদের বার্ষিক করযোগ্য আয় পাঁচ লাখ টাকার কম, তাঁরা ১৫এইচ ফর্ম জমা দিতে পারেন, যাতে ব্যাঙ্ক তাঁদের টিডিএস কেটে না নেয়।
তবে যে নাগরিকদের করযোগ্য আয়ের পরিমাণ পাঁচ লাখ টাকার বেশি, তাঁদের বেশি কর দিতে হবে। কারণ ফিক্সড ডিপোজিটের সুদে ১০ শতাংশ টিডিএসের নিয়মের ফলে তাঁদের বেশি টাকা দিতে হয়। নাহলে কর কাঠামো অনুযায়ী, কর-বাবদ তাঁদের কম টাকা দিতে হত। যদিও পরে সেই বাড়তি করের টাকা ফেরত পেতে পারেন তাঁরা।
যদিও নিয়ম অনুযায়ী, ১২বিবিএ ফর্ম পূরণ করলে প্রবীণ নাগরিকরা কর রিফান্ডের ঝক্কি থেকে মুক্তি পাবেন। আয়কর রিটার্ন ফাইল করার ঝঞ্জাট থেকে রেহাই পেতে প্রবীণ নাগরিকদের যে ফর্ম নিজেদের ব্যাঙ্কে জমা দিতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই পদক্ষেপে প্রবীণ নাগরিকদের একাংশ স্বস্তি পাবেন। যাঁরা তাঁদের অবসরের টাকা ব্যাঙ্কে জমা রাখেন। কারণ সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্সের (সিবিডিটি) বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, যে হার কার্যকর আছে, সেই অনুযায়ী প্রবীণ নাগরিকদের আয়কর কাটবে ব্যাঙ্ক। যার অর্থ হল যে বর্তমান কর কাঠামো অনুযায়ী, আলাদাভাবে ফিক্সড ডিপোজিটের সুদে টিডিএস কাটা হবে না।
চার্টার্ডক্লাব.কমের প্রতিষ্ঠাতা করণ বাটরা বলেন, ‘বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, কোনও করদাতা যদি পাঁচ শতাংশ করের কাঠামোর মধ্যে পড়েন, তাহলেও তাঁকে ফিক্সড ডিপোজিট থেকে প্রাপ্ত সুদে ১০ শতাংশ কর দিতে হবে। যাঁরা ১২বিবিএ ফর্ম জমা দেবেন, তাঁদের রিফান্ডের ঝক্কি থেকে রেহাই পারবেন।’