জোর ধাক্কা মাওবাদী সংগঠনে। ওড়িশায় এক সিনিয়র মাওবাদী নেতা সংগঠন ছাড়লেন। পুলিশের দাবি, আদিবাসী নয় এমন নেতাদের সঙ্গে মতবিরোধের জেরেই তিনি সংগঠন ছেড়েছেন। মূলত আদিবাসী নয় এমন নেতারা সংগঠনে এসে আদিবাসী গ্রামবাসীদের পুলিশের চর হিসাবে ঘোষণা করে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করছিল। এনিয়েই মতবিরোধ তুঙ্গে ওঠে। পাশাপাশি আরও তিনজন মাওবাদী আত্মসমর্পন করেছেন বলেও সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে। পুলিশ কর্তাদের দাবি, সুধীর ওরফে চিকুরু চিন্নারাও যিনি অন্ধ্র ওড়িশা সীমান্ত এলাকায় মাওবাদীদের স্পেশাল জোনাল কমিটির কমান্ডার ছিলেন তিনি সংগঠন ছেড়েছেন। নন ট্রাইবাল নেতৃত্বের সঙ্গে মত বিরোধের জেরে তিনি সংগঠন ছেড়েছেন, মনে করা হচ্ছে এমনটাই।
পুলিশ কর্তাদের দাবি, নিরীহ আদিবাসীদের কেন খুন করা হচ্ছে এনিয়ে নন ট্রাইবাল নেতাদের কাছে প্রশ্ন রেখেছিলেন সুধীর। তা নিয়েই মতবিরোধ তৈরি হয় দুপক্ষের মধ্যে। আদিবাসীদের সরলতার সুযোগ নেওয়া হচ্ছে বলেও সংগঠনের অন্দরে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। তবে মাওবাদী সংগঠনের বিশাখাপত্তনম ইস্ট ডিভিশনের সম্পাদক অরুনা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, 'সুধীরকে সংগঠন থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। মহিতা বলে একজন মেয়েকে নিয়ে সে পালিয়েছে। স্ত্রী ও বাচ্চাদের ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে সে।' পাশাপাশি রবিবার সকালে টালসে হুইকা ওরফে টালসো, রামে পদিয়ামি ওরফে সবিতা, রাইধর ওড়িশা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করেছে।