অব্যাহত বাজারের রক্তক্ষরণ। করোনার প্রকোপ বাড়ছে বিশ্বজুড়ে। ভারতেও তার প্রভাব পড়েছে। তার জেরেই এদিন ২,৭১৩.৪১ পয়েন্ট, অর্থাত্ ৭.৯৬ শতাংশ পড়ল সেনসেক্স। ৩১, ৩৯০.০৭ পয়েন্টে বন্ধ হয় বিএসই। অন্যদিকে ৭৫৭.৮০ পয়েন্ট (৭.৬১ শতাংশ) কমে ৯১৯৭.৪০ পয়েন্টে ট্রেডিং শেষ করে নিফটি। অন্যদিকে এখনই রেপো রেট না কমালেও ভবিষ্যতে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সেই পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস।
এদিন চিনের খুচরো বিক্রি ও শিল্পোত্পাদনের হতাশাজনক তথ্য সামনে আসার পরেই ধস নামে এশিয়ার শেয়ারবাজারগুলিতে। এদিন পরিস্থিতি সামাল দিতে দুই সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় বার রেট কমিয়েছে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ। কিন্তু তার পরেও অবস্থার উন্নতি হয়নি।
বিশ্বের ৪৩টি দেশ রেপো রেট কমালেও এখনও সেই পথে গেল না আরবিআই। তবে বাজারে টাকার অভাব মেটানোর জন্য দুটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। শক্তিকান্ত দাস বলেন যে দুই বিলিয়ন ডলারের কারেন্সি সোয়াপ করবে আরবিআই। এছাড়াও লং টার্ম রেপো অপারেশন (এলটিআরও) মাধ্যমে বাজারে এক লক্ষ কোটি ঢোকাবে আরবিআই।
তেসরা এপ্রিল আরবিআইয়ে অর্থনৈতিক নীতি-নির্ধারক কমিটির বৈঠকে রেট কাটের প্রসঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে জানান শক্তিকান্ত দাস।
এদিন সমস্ত ক্ষেত্রসূচক লালে বন্ধ হয়েছে। সেনসেক্সের ৩০টি শেয়ারই অনেক লোকসান করেছে। করোনায় এখনও সারা বিশ্বে ৬০০০ জন মারা গিয়েছেন। ভারতে এই মুহুর্তে আক্রান্তের সংখ্যা ১১৪, মারা গিয়েছেন দুইজন।