জোরপূর্বক ধর্মান্তরণের ঘটনা ঘটলে কেন্দ্রীয় সরকার কড়া পদক্ষেপ করবে। ধর্মান্তরণ সংক্রান্ত মামলার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হলফনামায় এই কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। উল্লেখ্য, বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রকে নোটিশ ইস্যু করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই নোটিশের প্রেক্ষিতেই হলফনামা পেশ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কেন্দ্রের তরফে বলা হয়, ‘এই মামলার দাবির বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে। কেন্দ্রীয় সরকার বিষয়টি সম্পর্কে অবগত থাকায় উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।’
আইনজীবী অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায়ের দাবি ছিল, ধর্মান্তরণ রুখতে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার যাতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়। আবেদনকারী অশ্বিনী আরও দাবি করেন যাতে ভারতের ধর্মান্তর নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি বিল এবং রিপোর্ট তৈরি করার জন্য আইন কমিশনকে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলার প্রেক্ষিতে হওয়া প্রথম শুনানির সময় ধর্মান্তরণের বিষয়টি ‘গুরুতর ব্যাপার’ আখ্যা দিয়ে উদ্বেহ প্রকাশ করেছিল।
সুপ্রিম কোর্টে জমা করা হলফনামায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বলেছে, ‘কোনও নির্দিষ্ট ধর্মে ধর্মান্তরিত করার বিষয়টি ধর্মের স্বাধীনতার মৌলিক অধিকারে অন্তর্ভুক্ত নয়। প্রতারণা, জবরদস্তি, প্রলোভন বা এই জাতীয় উপায়ে একজন ব্যক্তিকে ধর্মান্তরিত করা হলে তা ধর্মের অধিকারে অন্তর্ভুক্ত হয় না।’ কেন্দ্রের কথায়, ‘ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক ও হরিয়ানা জোর করে ধর্মান্তরিত করার বিষয়ে ওয়াকিবহল এবং এই বিষয়ে পদক্ষেপ করেছে।’ এদিকে এই বিষয়ে আদালত বলে, ‘অবৈধভাবে ধর্মান্তরিত করার ক্ষেত্রে আইনি পথে এগিয়ে দুর্বল শ্রেণিকে রক্ষা করার উদ্যোগ ন্যায়সঙ্গত।’। এই আবহে সব রাজ্য থেকে বলপূর্বক ধর্মান্তরণ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের জন্য কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সব রাজ্যকে এই সংক্রান্ত ইস্যুতে নোটিশ দিতে চাইছে না সুপ্রিম কোর্ট। তাই কেন্দ্রকে এই রিপোর্ট তৈরি করতে বলে সর্বোচ্চ আদালত।
বিচারপতি এম আর শাহ ও সিটি রবিকুমারের বেঞ্চ বলছে, 'এটি একটি গুরুতর বিষয়। বলপূর্বক ধর্মান্তরণে ঘটনা চলতে থাকতে পারে না। আমরা কোনও নির্দিষ্ট রাজ্যের বিরুদ্ধে নই। সংশ্লিষ্ট রাজ্য থেকে এই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে কেন্দ্র আগে হলফনামা জমা দিক।' এর জন্য কেন্দ্রকে এক সপ্তাহ সময় দেয় সর্বোচ্চ আদালত।