করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে জেরবার ভারত। এই আবহে সোমবারই টিকাকরণ নিয়ে বড় ঘোষণা করা হয় কেন্দ্রের তরফে। জানিয়ে দেওয়া হয় ১৮ বছরের উপরে সবাই ১ মে থেকে টিকা নিতে পারবে। খোলা বাজারে টিকা বিক্রি শুরু হবে। তাছাড়া রাজ্য সরকারগুলি টিকা প্রস্তুতকারকদের থেকে টিকা কিনতে পারবে। তবে এই পরিস্থিতি টিকার উত্পাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সিরাম এবং ভারত বায়োটেককে বড় অনুদান পাঠাল কেন্দ্রীয় সরকার। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক মোট ৪,৫৬৭.৫০ কোটি টাকা পাঠিয়েছে এই দুই সংস্থাকে।
জানা গিয়েছে পুণে ভিত্তিক সিরাম ইনস্টিটিউটের জন্য কেন্দ্রের তরফে ৩ হাজার কোটি টাকার অনুদান পাঠানো হবে। এছাড়া হায়দরাবাদ ভিত্তিক ভারত বায়োটেককে ১৫৬.৫০ কোটি টাকা পাঠানো হবে কেন্দ্রের তরফে।
সোমবার কেন্দ্রীয় সরকার জানায়, দেশে মোট যে পরিমাণ করোনার টিকা তৈরি হবে, তার ৫০ শতাংশ কেন্দ্রকে দিতে হবে। বাকি ৫০ শতাংশ রাজ্য সরকারগুলিকে অথবা খোলা বাজারে বিক্রি করা যাবে। এই পরিস্থিতিতে টিকা উপাদন বাড়াতে হবে সংস্থাগুলিকে। এদিকে পুণের সিরাম গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমুনাইজেনশনের অংশ। তাই দরিদ্র দেশগুলিতে কয়েক কোটি টিকা পাঠাতে হবে তাদের।
এদিকে সম্প্রতি রাশিয়ার স্পুটনিক ভি টিকাকে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ভারতে এই টিকা প্রস্তুত করবে ডঃ রেড্ডি ল্যাব। সম্পরতি ৯২ দিনে ভারত ১২.২ কোটি মানুষের টিকাকরণের রেকর্ডও গড়ে। তবে দেশের মোট জনসংখ্যার নিরিখে এই সংখ্যাটা ততটাও বেশি নয়। তাই করোনা টিকার উপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে চাইছে কেন্দ্র।