কয়েকদিন আগেই করোনা টিকার অভাব নিয়ে কেন্দ্রকে দুষেছিলেন সেরাম ইনস্টিটিউটের কার্যনির্বাহী নির্দেশক সুরেশ যাদব। সেই মন্তব্যের পর ২২ মে কেন্দ্রকে চিঠি লিখে সেরাম ইনস্টিটিউটের তরফে সুরেশ যাদবের মন্তব্য থেকে নিজেদের দূরত্ব বুঝিয়ে দেয়। চিঠিতে সেরামের তরফে কেন্দ্রকে লেখা হয়, 'সংস্থার সিইও আদর পুনাওলার তরফে আমরা জানাতে চাই যে সেই মন্তব্য আমাদের পক্ষ থেকে জারি করা হয়নি। এব সংস্থা এই মন্তব্যের সাথে সহমত পোষণ করে না। এটা সংস্থার দৃষ্টিভঙ্গি নয়।'
উল্লেখ্য, এর আগে শুক্রবার সংস্থার কার্যনির্বাহী নির্দেশক সুরেশ যাদব দাবি করেন, ভাঁড়ারে কত টিকা মজুত রয়েছে, সেই সম্পর্কে খোঁজখবর না নিয়েই একের পর এক বয়সসীমার মানুষকে টিকাকরণের আওতাভুক্ত করেছে কেন্দ্র৷ এমনকী, এই কাজ করার আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইনও মানা হয়নি বলে অভিযোগ সুরেশের৷
সুরেশের মতে, টিকাকরণের সময় অবশ্যই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন মেনে চলা উচিত৷ এবং সেই মতোই টিকাকরণের ক্ষেত্রে কাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, তা স্থির করা উচিত৷ সুরেশ বলেন, 'এটা আমাদের কাছে একটা বিরাট শিক্ষা৷ আমাদের আগে পণ্য়ের জোগান খতিয়ে দেখতে হবে এবং তারপর সেই মতোই তা ব্য়বহার করতে হবে৷'
সুরেশের দাবি, প্রাথমিকভাবে স্থির হয়েছিল দেশের ৩০ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে৷ তাঁদের যাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই দু’টো করে ডোজ দেওয়া যায়, তার জন্য ৬০ কোটি ডোজ প্রস্তুত রাখা হয়েছিল৷ কিন্তু সেই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানোর আগেই সরকার প্রথম ৪৫ বছর ও তার বেশি বয়সী এবং পরে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের জন্যও টিকাকরণ শুরু করে দেয়৷ অথচ ভাঁড়ারে যে এত বিপুল পরিমাণে টিকা মজুত নেই, সেটা ভেবে দেখল না কেন্দ্র৷
এর পাশাপাশি, সুরেশের পরামর্শ, টিকা নিয়ে বাছবিচার করার সময় এটা নয়৷ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন অনুমোদিত যে টিকাই পাওয়া যাবে, তা নিয়ে নিতে হবে৷ তবে কোন টিকা করোনা প্রতিরোধে সবথেকে বেশি কার্যকর, সেটা এখনই বলা সম্ভব নয় ৷ তার জন্য আরও অনেকটা সময় অপেক্ষা করতে হবে৷ তবে সুরেশের এহেন মন্তব্যের পরই অস্বস্তিতে পড়ে সেরাম। এরপরই কেন্দ্রকে চিঠি লিখে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে সেরাম।