তিন বাহিনীর প্রধান আগামিকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করতে চলেছেন। 'অগ্নিপথ' নিয়োগ প্রকল্পের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হবে তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে। প্রসঙ্গত, ঘোষণার পর থেকেই অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে দেশ জুড়ে। সেনায় যোগ দিতে ইচ্ছুক পড়ুয়াদের প্রতিবাদ হিংসাত্মক আকার ধারণ করেছে। এই আবহে সরকারের তরফে একাধিক পদক্ষেপের কথা বলা হলেও প্রতিবাদের আগুন নিভছে না। এই আবহে কঠোর পদক্ষেপেরও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। তবে কিছুতেই কিছু হচ্ছে না।
এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী মোদী গতকাল এবং আজ বেশ ইঙ্গিতবহ মন্তব্য করেছেন। পরোক্ষভাবে অগ্নিপথ নিয়ে আজ তিনি বেঙ্গালুরুতে বলেন, ‘অনেক সিদ্ধান্ত এবং সংস্কার অপ্রীতিকর মনে হতে পারে, তবে সমগ্র দেশ এগুলির সুফল ভোগ করবে একদিন।’ এর আগে গতকাল প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন, ‘দেশের জন্য অনেক ভালো প্রকল্প ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে করা হয়। কিন্তু, আমাদের দেশের দুর্ভাগ্য যে তাতে রাজনীতির রং লেগে যায়।’
এর আগে তিন বাহিনীর প্রধান যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করে অগ্নিপথ প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন। সেই সময় বলা হয়েছিল, যে 'অগ্নিবীর'-দের নিয়োগ করা হবে, তাঁদের মধ্যে সর্বাধিক ২৫ শতাংশ প্রার্থী বাহিনীতে থাকবেন। প্রতিটি ব্যাচ থেকে সামরিক বাহিনীর ‘রেগুলার ক্যাডারে’ সর্বাধিক ২৫ শতাংশ'অগ্নিবীর'-কে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ১৭ বছর ৬ মাস থেকে ২১ বছর বয়সিরা অগ্নিবীর প্রকল্পের মাধ্যমে আবেদন জানাতে পারবেন। যদিও প্রথম বছরের জন্য অগ্নিবীর প্রকল্পে আবেদন জানানোর ঊর্ধ্বসীমা ২৩ বছর। চাকরির মেয়াদ শেষ হলে'সেবা নিধি প্যাকেজ'-র আওতায় ১১.৭১ লাখ টাকাদেওয়া হবে অগ্নিবীরদের।চার বছরের চাকরি শেষে অগ্নিবীরদের একটি স্কিল সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। তাতে ওই প্রার্থীর কী কী দক্ষতা আছে,সেই সংক্রান্ত তথ্য দেওযা থাকবে।